এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার ইলেকশন পিটিশন দাখিল হতেই ইভিএম থেকে মুছে যাচ্ছে তথ্য, চাঞ্চল্য রাজ্যে!

মমতার ইলেকশন পিটিশন দাখিল হতেই ইভিএম থেকে মুছে যাচ্ছে তথ্য, চাঞ্চল্য রাজ্যে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  গত মে মাসের 2 তারিখে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে 77 টি আসন পেয়ে বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে এই ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই একদিকে নন্দীগ্রাম নিয়ে যেমন সংশয় তৈরি হয়েছিল তৃণমূলের, ঠিক তেমনই আরও অনেক বিধানসভা কেন্দ্রে পুনর্গণনা হলে তারা জয়লাভ করবেন বলে দাবি করতে শুরু করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। নিয়ম মত নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর আরও 45 দিন সময় থাকে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করার।

সেক্ষেত্রে ইভিএমগুলো যত্ন সহকারে রেখে দেয় নির্বাচন কমিশন। যাতে তা থেকে কোনোরকম তথ্য মুছে না যায়, তার জন্য বাড়তি সচেতনতা গ্রহণ করা হয়। ইতিমধ্যেই সেই 45 দিন অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। তবে তার মধ্যে নন্দীগ্রাম নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও চার তৃনমূল প্রার্থী তাদের নিজ নিজ বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে কার্যত চ্যালেঞ্জ করে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে। পাল্টা বিজেপির পক্ষ থেকেও বেশ কিছু পরাজিত প্রার্থী আদালতে যাওয়ার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

আর এই পরিস্থিতিতে 45 দিনের নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পর এবার সেই ইভিএম গুলোকে ক্লিয়ার করতে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের যে সমস্ত তথ্য ছিল, তা মুছে দেওয়ার কাজ শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন। স্বভাবতই বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে শাসক থেকে শুরু করে বিরোধীদলের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, তখন 45 দিন সময় পার হয়ে যাওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ইভিএমের সমস্ত তথ্য মুছে দেওয়ার উদ্যোগ নানা মহলে তৈরি করেছে গুঞ্জন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, রাজ্যের মোট 284 টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটের যে সমস্ত তথ্য ইভিএমে জমা হয়েছিল, তা মোছার কাজ শুরু হয়েছে। কেননা পরবর্তীতে এই ইভিএমগুলো অন্য কোনো নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করার উদ্যোগ নেবে নির্বাচন কমিশন। আর সেই কারণেই সেগুলোকে আটকে না রেখে নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরেই তা মুছে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হল। একাংশ বলছেন, প্রথমে ঠিক ছিল, আগস্টে এই তথ্য মোছার কাজ শুরু করা হবে। কিন্তু পরবর্তীতে জুলাই মাস থেকে সেই তথ্য মোছার কাজ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই ইভিএমের তথ্য মোছার ব্যাপারে কমিশনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও, সেভাবে কোনো রাজনৈতিক দল সেই ব্যাপারে আপত্তি জানায়নি। যার ফলে নিশ্চিন্তে সেই কাজ করতে শুরু করেছে কমিশন।

তবে এই গোটা ঘটনায় ভারতীয় জনতা পার্টি যে ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইলেকশন পিটিশন অনেক কেন্দ্রের জন্য দাখিল করতে পারেনি। ফলে মুখে বললেও কাজে যে বিজেপি একচুল এগোতে পারেনি, তা কার্যত পরিষ্কার। যার ফলে কমিশনের পক্ষ থেকে এখন যে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে শুধুমাত্র ইলেকশন পিটিশন দাখিল করা হয়েছে, তা বাদে বাকি সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রের তথ্য মোছার কাজ শুরু করে দেওয়া হল।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “যে সমস্ত আসন নিয়ে মামলা হবে, সেগুলো কোনোভাবেই মোছা যাবে না। কারণ এই মামলায় তথ্যগুলো সাক্ষ্য হিসেবে দেখানো হবে। তবে নতুন করে মামলা দায়েরের আগে যদি ইভিএমের তথ্য মুছে দেওয়া হয়, তাহলে আর মামলাগুলো দায়ের করা যাবে না। এর ফলে আদালতঝ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। লকডাউন হোক বা অন্য কোনো কারণ, মামলা দায়ের করতে 45 দিন যথেষ্ট সময় এই সময়। এর মধ্যে মামলা দায়ের করে না থাকলে আর কিছু করার নেই। এখন আটটি কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। সেগুলো নিয়েই আদালত যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে।” সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!