অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিস্ফোরক ধনকর! ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূল শিবিরে কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য October 29, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের রাজ্যপালের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক যে খুব একটা সুখকর নয় তার প্রমাণ পাওয়া গেছে বহুবার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে নিজের অসন্তোষের কথা সামনে এনেছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড়। সেইসঙ্গে রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েও কটাক্ষ করতে দেখা গেছে তাঁকে। বস্তুত রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা সম্পর্কিত পরিস্থিতির রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পেশ করতেই দিল্লিতে রয়েছেন রাজ্যপাল। আর দিল্লির কাছে রাজ্যকে যে ভাবে উপস্থাপিত করেছেন তিনি, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে তার ধরন দেখে বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন রাজ্যের শাসক দলের একাংশ। তাদের অনেকেরই অভিমত বিজেপির হয়েই কথা বলেছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্যের রাজ্যপালের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। গতকাল তিনি এ প্রসঙ্গে দিল্লিতে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে। তবে বস্তুত যেখানে সকলেরই নজর এই বৈঠকের উপর ছিল, সেখানে সেই বৈঠকের শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঠিক কি কথা হয়েছে, সে কথা সরাসরি না জানা যায়নি। তাদের বৈঠকে যে রাজ্যে সম্পর্কে রাজ্যপাল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে রাজ্যপালের বক্তব্যে। বস্তুত রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে এবং সেইসঙ্গে রাজনৈতিক হিংসা বেড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে জঙ্গিরা কার্যকলাপ এবং রাজ্যে বোমা তৈরীর কারখানা, আল-কায়েদার জাল বিস্তার এই সমস্ত কিছু নিয়েই বারবার সরব হতে দেখা গেছে রাজ্যপালকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যদিও এতদিন টুইট করেই মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের শাসক দলকে হুঁশিয়ার দিলেও এবার তিনি তার ক্ষোভ জানালেন দিল্লি থেকেই। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, এ রাজ্যে একজন নিরাপত্তা উপদেষ্টা আছেন, যিনি অবসরপ্রাপ্ত ডিজিও। কিন্তু তিনি আসলে কি কাজ করেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁর শুধুই কি রাজনৈতিক কাজে যুক্ত থাকাই কর্তব্য কিনা, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন যে রাজ্যের আইপিএস ও আমলাদের সঙ্গে তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে চেয়ে বারবার বার্তা পাঠিয়েছেন। কিন্তু কেউ তাতে সাড়া দেননি বলেই অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর নজরে বিষয়টি আনার পরও কোনো লাভ হয়নি বলেই অভিযোগ করেছেন তিনি। বস্তুত নাম না করে এই বক্তব্যে যে তিনি রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে নিশানা করেছেন সেকথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। সেইসঙ্গে, নাম না করে তিনি ফের রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ করপুরকায়স্থকে নিশানা করেছেন বলেও বোঝা গেছে। আর এই ঘটনাতেই শাসকদলের মধ্যে তীব্র বিরোধিতা দেখা গেছে। আপনার মতামত জানান -