এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুভেন্দুকে তৃণমূলেই চান কর্মীরা? আবারো অধিকারী যুবরাজের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মমতার বিশেষ দূত?

শুভেন্দুকে তৃণমূলেই চান কর্মীরা? আবারো অধিকারী যুবরাজের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মমতার বিশেষ দূত?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের মুখ্য নেতৃত্বের সঙ্গে অন্যতম সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারীর দূরত্ব বেড়েছে বিভিন্ন কথাবার্তায় তা আরো পরিস্ফুট হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সভা থাকে এমন কিছু কটাক্ষ করেছেন যা থেকে দলের সঙ্গে তার দূরত্ব স্পষ্ট হয়েছে। জল্পনার ঝড় এমনই উঠেছে যেখান থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী হয়তো তাঁর অনুগামীদের নিয়ে দল ছাড়তে চলেছেন। পাশাপাশি বিরোধী শিবিরও শুভেন্দু অধিকারীর মতন সেনাকে হাতে পাওয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন সম্প্রতি তৃণমূল দলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়।

আর তারপরেই রামনগরের সভাতে শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীও দল ছেড়ে যেতে বলেননি এবং তিনি নিজেও দল ছাড়েননি এখনো পর্যন্ত। অর্থাৎ রামনগরের মেগা শোয়ের পরেও জল্পনার অবসান হলনা। বরং শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে তৈরি হলো নতুন ধোঁয়াশা। তবে কালী পুজোর উদ্বোধন মঞ্চে কিংবা নন্দীগ্রামের শহীদ সমাবেশে শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে কথা বলেছিলেন, রামনগরের সভায় কিন্তু অন্যরকম শুভেন্দুকে দেখলো মানুষ। অন্যদিকে তৃণমূলের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৌগত রায় এদিন সাংবাদিকদের সামনে জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তিনি আগেও আলোচনায় বসেছেন এবং হয়তো খুব শিগগিরই আরো একবার বসতে চলেছেন।

সৌগতবাবু জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন। তবে শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে দল ছাড়া নিয়ে কোনো রকম সিদ্ধান্ত জানাননি। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর কোনো দাবি নেই বলেও সৌগত রায় এদিন জানান। তবে তিনি শুভেন্দুর বেশ কিছু বক্তব্য সম্পর্কে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেন। তবে কি বক্তব্য তা নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে কোনো কিছুই প্রকাশ করেননি তৃণমূল সাংসদ। প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সম্প্রতি আলোচনায় বসতে চান তৃণমূলের ভোট কৌঁশলী প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু শুভেন্দু তাঁকে এড়িয়ে যান।

কিন্তু তারপরেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনা চালানোর নির্দেশ দেন তৃণমূলের প্রবীণ নেতা সৌগত রায় এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যদিও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও শুভেন্দু অধিকারী সঙ্গে বসেননি। অন্যদিকে শুভেন্দুর স্পষ্ট বার্তায় বোঝাই যাচ্ছে, তিনি প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী নন। কিন্তু দলের প্রবীণ নেতার সঙ্গে তিনি কথা বলতে আগ্রহী। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই শুভেন্দুর মতামত পৌঁছে গেছে তৃণমূল নেত্রীর কানে। তাঁর তরফ থেকেও কোনো উত্তর এখনো পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেনি। তবে মনে করা হচ্ছে, সৌগত রায় হয়তো সে ব্যাপারেই শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলতে চলেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুভেন্দু অধিকারী বা তৃণমূলের তরফ থেকে কেউ কোনো কথা না বললেও কিছুটা কল্পনার মিশেল এবং কিছুটা জল্পনার জট একসাথে মিশে যা দাঁড়িয়েছে তা হল, শুভেন্দু অধিকারী কোন রকম ভাবেই প্রশান্ত কিশোরকে মেনে নিতে চাইছেন না। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিও তাঁর একই ক্ষোভ। শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশই তিনি মানতে চান। এখন সে ক্ষেত্রে কোন রফাসূত্র বেরিয়েছে কিনা তা অবশ্য জানা নেই কারোর। তবে দলে যাই হোক না কেন, শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু তাঁর শিষ্টাচার বরাবরই বজায় রেখেছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অবশ্য শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই বার্তা দিয়েছেন, দলে থাকলে বিভিন্ন কারণে মতভেদ হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে সেখানে বিচ্ছেদ আসে।

কিন্তু মন্ত্রিসভায় থেকে বা দলে থেকে কোনো রকম রাজনৈতিক কথা প্রকাশ্যে বলা যায়না। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, দলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর যে টানাপোড়েন চলছে তা কি এতো সহজে মেটা সম্ভব? কারণ রাজনৈতিক ময়দানে কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুজনেই আবেগপ্রবণ মানুষ এবং দুজনেই অত্যন্ত শক্তিশালী নেতা। সেক্ষেত্রে দুজন শক্তিশালী নেতার ইগো এক জায়গায় মিলবে কিনা তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থাকছেই। অন্যদিকে তৃণমূলের মুখপাত্ররা কিন্তু জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের বিশিষ্ট নেতা। পাশাপাশি তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটির সদস্য এবং মন্ত্রিসভার একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী।

সব মিলিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে মত অনেকের। তবে শুভেন্দুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কিন্তু প্রবল কৌতুহল এই মুহূর্তে রাজনৈতিক মহলে। অবশ্য দু তরফের বরফ গলবে কিনা তা অবশ্য সময় বলবে। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু এই মুহূর্তে তৃণমূল শিবিরের জল মাপছেন। আপাতত বাংলার রাজনৈতিক মহল বর্তমানে তীব্র কৌতুহলী শুভেন্দু অধিকারীর ভবিষ্যৎ অবস্থান জানতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!