এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিধায়ক ভাঙন রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে বিজেপি, সরব দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ নিয়ে

বিধায়ক ভাঙন রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে বিজেপি, সরব দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ নিয়ে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন গুঞ্জন চলার পর বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় স্বপুত্র তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। যা এই মুহূর্তে গেরুয়া শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে প্রবল আশঙ্কা, মুকুল রায় বিজেপি ছাড়ার পাশাপাশি এবার আরো বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে। আর সেই পরিস্থিতি যাতে কোনভাবেই না আসে, তার জন্য এবার দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার প্রতি সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। এক্ষেত্রে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, সময়সাপেক্ষ হলেও বিরোধী দলনেতা হিসেবে বাংলায় দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করবেন তিনি।

যদিও শুভেন্দু অধিকারী এই দাবি জানালেও প্রশ্ন উঠছে অন্যত্র। শিশির অধিকারী যিনি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা এবং সুনীল মণ্ডল বিজেপিতে যোগ দেওয়া সত্ত্বেও তৃণমূলের সাংসদ পদ ছাড়েননি এখনো পর্যন্ত। এ ব্যাপারে তৃণমূল ইতিমধ্যে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে আবেদন জানিয়েছেন দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করার জন্য।

আর সেই সূত্রে জানা যাচ্ছে, দলত্যাগ বিরোধী আইন চালু করা অতটাও সহজ নয়। তার কারণ দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত একমাত্র গ্রহণ করতে পারেন একমাত্র স্পিকার। লোকসভার সাংসদদের ক্ষেত্রে যেমন লোকসভার স্পিকার শেষ কথা বলবেন, বিধানসভার বিধায়কদের ক্ষেত্রেও বিধানসভার স্পিকার শেষ কথা বলবেন।

এক্ষেত্রে স্পিকার সেই সিদ্ধান্ত কবে নেবেন তার কোনো সময়সীমা নেই। লোকসভায় তৃণমূল দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, লোকসভায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে বহু তথ্য প্রমাণ তুলে দেওয়া হয়েছে স্পিকার ওম বিড়লার হাতে শিশির অধিকারী এবং সুনীল মণ্ডল এর বিরুদ্ধে। কিন্তু তাও স্পিকার এব্যাপারে সদর্থক কোন ভূমিকা গ্রহণ করেননি। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, সোমবারই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের কাছে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নালিশ জানানোর পাশাপাশি রাজ্যপালকে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করার আবেদন জানাবেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে অবশ্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুভেন্দু যেখানে ইচ্ছা যেতেই পারেন। কিন্তু বিধানসভা ও লোকসভা উভয় ক্ষেত্রেই স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হবে কিনা তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে রাজ্যপাল কিংবা রাষ্ট্রপতিরও কিছু করার নেই। প্রসঙ্গত, 1985 সালের দলত্যাগ বিরোধী আইনে বলে দেওয়া আছে, স্পিকারই এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। স্পিকার চাইলে বিষয়টি বিধানসভার প্রিভিলেজ কমিটির কাছে পাঠাতে পারেন, আবার নাও পারেন। অর্থাৎ একমাত্র স্পিকারই যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন দলত্যাগ বিরোধী আইনের ব্যাপারে।

স্পিকার যতক্ষণ না কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তা নিয়ে আদালতেও যেতে পারবেনা কোন পক্ষ। তবে এ ব্যাপারে প্রাক্তন বিধায়ক তথা আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ জানিয়েছেন, অতীতে উদাহরণ আছে, সুপ্রিমকোর্ট এবং বিভিন্ন হাইকোর্ট থেকে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করার ব্যাপারে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করেছে। তবে জানা গিয়েছে, ভারতীয় সংবিধানের 52 তম সংশোধনে দলত্যাগ বিরোধী আইনের যে রূপ রয়েছে, তা বিলক্ষণ জানা আছে বিজেপির এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।

পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, যদি মুকুল রায়ের ওপর দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করা হয় সেক্ষেত্রে বিজেপি নেতা শিশির অধিকারী বা সুনীল মণ্ডলের উপরেও একই আইন প্রযোজ্য হবে। এইমুহুর্তে গেরুয়া শিবিরের যাবতীয় লক্ষ্য দলের ভাঙন রোখা। আর তাই বিধায়ক মুকুল রায়ের চলে যাওয়া যাতে অন্যদের কাছে আদর্শ না হয়ে ওঠে, তাই অন্যান্য বিধায়কদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে দল বিরোধী আইন প্রয়োগের ব্যাপারে মরিয়া বিজেপি।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!