বিকাশের সওয়ালে শাসক-যোগের প্রমানে এবার কি চাকরি যাবে নির্বাচন কমিশনারের? রাজ্য April 19, 2018 গতকালও ছিলো হাইকোর্টের পঞ্চায়েত মামলার শুনানির দিন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শুনানি শেষ না হওয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের কার্যপ্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ আরো ও একদিন বেড়ে গেলো। এদিন আদালতে সয়ালের কাজ শেষ হওয়ার পরেই বাম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের বেঞ্চে দাবি করে বলেন,”সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে কমিশন। তৃণমূল কংগ্রেসের দালালে পরিণত হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে আমরা দাবি করেছি নির্বাচন কমিশনারকে সরিয়ে দেওয়া হোক।” কলকাতার প্রাক্তন মেয়র এদিন তাঁর সওয়ালে অভিযোগ করলেন ৯ এপ্রিল মনোনয়নের মেয়াদ বাড়িয়েও পরের দিন সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে যা স্পষ্টতই কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতাকে নির্দেশ করছে। নিজের কথা বিশ্লেষন করে তিনি বললেন ভারতীয় সংবিধান রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কিছু অধিকার দিয়েছে। সেই অধিকার বলে কমিশন মনোনয়ন পেশের মেয়াদ বাড়িয়েছে। কমিশনের সেই সিদ্ধান্ত ঠিক বা ভুল হতে পারে, কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত ঠিক না ভুল সেটা বিচার করার দায়িত্ব কোনো রাজনৈতিক দলের হতে পারেনা বলে দাবি করলেন তিনি। এইভাবেই নাম না করে রাজ্যের শাসকদলের অপশাসনের একটি দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করলেন হাইকোর্টের বিচারপতির সম্মুখে। এদিন আইনজীবি বিকাশ ভট্টাচার্য সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায়ের উল্লেখ করে জানালেন সংবিধানের বিশুদ্ধতা রক্ষার্থে আদালতের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের অধিকার আছে। আপনার মতামত জানান -