মৃত প্রিজাইডিং অফিসারের স্ত্রীকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্য May 19, 2018 মৃত প্রিজাইডিং অফিসারের স্ত্রীকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর। সম্প্রতি ইটাহার ব্লকের সোনাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৮ নং বুথে ডিউটিরত প্রিজাইডিং অফিসার রাজকুমার রায়ের ভোটের দিন রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। পরিবারের তরফ থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির এফআইআর করার পর পুলিশের হাতে আসে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ, তাও সোনাডাঙ্গি এলাকায় রেললাইনের ধারে। এভাবে ভোট কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন সরকারি চাকরিরত ভোটকর্মীরা। তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে এই অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এছাড়া ভোটকর্মীদের উপযুক্ত নিরাপত্তার দাবীতে এবং ওই পোলিং অফিসারের খুনীর গ্রেফতারির দাবীতে তাঁরা উওর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের ঘড়িমোড় এলাকায় প্রতিবাদে পথ অবরোধও করেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এই ঘটনার পর, উওর দিনাজপুরের জেলাশাসক আয়েশা রানি সাংবাদিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। সেখানে প্রকাশ্যে জানান যে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে নাকি রাজকুমার রায়ের। এমনটাই দাবী ছিল তাঁর। অন্যদিকে,মৃত ভোটকর্মীর পরিবার CBI তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন মৃত্যু রহস্যের সত্য উদঘাটনের জন্য। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনও চেয়ে পাঠিয়েছেন। এমনটাই জানা যাচ্ছে রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে।এই ঘটনা দগদগে ঘাঁ করে দিয়েছে নির্বাচনকালীন ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গে। তাতেই মলম লাগালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃত প্রিজাইডিং অফিসারের পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি। রাজকুমার রায়ের স্ত্রীকে ফোন করে নবান্নে দেখা করতে বললেন এদিন। জানালেন ক্ষতিপূরণ হিসাবে হিসাবে ৫ লাখ টাকার আর্থিক সাহায্য ছাড়াও দেওয়া হবে পরিবারের একজনের নিশ্চিত চাকরি। নবান্নে বসে এদিন তিনি বললেন যে প্রিজাইডিং অফিসারের পরিবারকে সাহায্য করা হবে। রেলের দুর্ঘটনায় উনি মারা গেছেন তাই রেলের নিয়মানুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন উনি। সাথে এটাও জানালেন যে উনি ভোটের কাজ করতে এসে প্রাণ হারিয়েছেন সে কারণেই হোক না কেন। দায়িত্ব সরকারের উপর বর্তায়। জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাজ্যসরকার রাখেন না তবে বেঁচে থাকা মানুষগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্ব শাসকদলের। সবশেষে এটাও বলেন তিনি তাঁরা গরীব পার্টি। তবে দল থেকে কর্মীদের পয়সা দিয়ে যতটা সম্ভব পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা হবে। আপনার মতামত জানান -