জঙ্গলমহলে ঘাঁটি গেড়ে সাধারণের কাছে কতটা পরিষেবা পৌঁছাচ্ছে যাচাই করবেন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য June 17, 2018 তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত ছিল জঙ্গলমহল। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রকাশ্যে আসতেই দেখা গেছে যে জঙ্গলমহলেই মুখ থুবড়ে পড়েছে শাসকদল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরই কিন্তু নতুন কিছু প্রকল্প নিয়ে আসেন। জঙ্গলমহল এলাকার মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত মানুষগুলোকে সঠিক রাস্তায় ফিরিয়ে আনতে এবং তাঁদের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নতিতে এই প্রকল্পগুলো বেশ লাভদায়ী হয়েছিলো। কিন্তু এবারের পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের পর প্রকাশ্যে এল অনেক বদল। জেলা পরিষদের নিজেদের দাপট অব্যাহত রাখলেও পুরুলিয়া,ঝাড়গ্রাম,বাঁকুড়া,পশ্চিম মেদিনীপুরে হুকুম চলেছে বিরোধীদের। এ ফলাফল সামনে আসায় রাতের ঘুম উড়েছে জোড়াফুল দলের। নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তারা। জঙ্গলমহল এলাকায় নিজেদের সাংগঠিক দূর্বলতা খুঁজতে মাঠে নেমে পড়েছেন শাসকদলের শীর্ষ নেতারাও এবং তাতেই সামনে এসেছে প্রশাসনিক স্তরের বেশ কিছু ত্রুটি। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের আগে তাই এখন সেই ত্রুটি হটাও কর্মসূচিতেই নেমে পড়েছে প্রশাসন । আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ইতিমধ্যেই, রাজ্যসরকারের খাদ্যপ্রকল্পের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এসেছে জঙ্গলমহল থেকে। লোকসভা ভোটে আগে এরকম অভিযোগ উঠলে তা শাসকদলের ভাবমূর্তি রক্ষার ক্ষেত্রে হানিকর বিবেচনা করেই তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান যে, রাজনৈতিক তথা প্রশাসনিক স্তরে যদি শাসকদলের কাজের ভুলত্রুটি থাকে তাহলে তাকে অবিলম্বে দূর করে ফেলা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে মতামত নিতে হবে সব স্তরের মানুষদেরই। রাজনৈতিক খবরের সূত্র থেকে জানা গেছে যে তৃণমূল সরকারের তরফ থেকে খাদ্যপ্রকল্প কর্মসূচি চালু করা হলে দরিদ্র সীমার নীচে থাকা জঙ্গলমহলের মানুষগুলো পাচ্ছিলো ২ টাকা কেজি দরে চাল। কিন্তু সেই সুবিধা এখনো জঙ্গলমহলের মানুষগুলো ঠিকঠাক পাচ্ছে কিনা কিংবা পেলেও সেই চালের গুনগত মান কিরকম সে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে প্রশাসন ভোটের ফলাফলের নমুনা দেখে। তাই সেসব দিক খতিয়ে দেখার দায়িত্ব নিয়ে চলতি মাসেই জঙ্গলমহলের চারটি জেলায়( পুরুলিয়া,বাঁকিড়া,ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিমমেদিনীপুর) সফরে যাবেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। টানা তিনদিন ধরে সেখানে ‘গণবন্টন’ ব্যবস্থার পরিস্থিতিটি তদারক করা হবে। খাদ্যমন্ত্রী এদিন প্রসঙ্গে বলেন যে জঙ্গলমহলের সামগ্রিক পর্যালোচনা হবে। খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে কোথায় গলদ আছে তা খতিয়ে দেখবে খাদ্যদপ্তর। তাছাড়া ধান সংগ্রহের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতেও জেলাস্তরে হবে এই বৈঠক। আপনার মতামত জানান -