উত্তর দিনাজপুরে ঘুরে দাঁড়াতে বিদ্রোহীদের ছেঁটে সংগঠনে ব্যাপক রদবদল আনল শাসকদল উত্তরবঙ্গ রাজ্য June 26, 2018 গত বিধানসভা নির্বাচনে তো বটেই, এমনকি সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েতেও দলের কাছে জলের মত পরিষ্কার – গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে শেষ ফলাফলে। আর সেই কথা অনুধাবন করতে পেরেই বিদ্রোহীদের ব্রাত্য রেখে দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করার উদ্যোগ নিল উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। স্থানীয় সূত্রের খবর, রায়গঞ্জ পুরসভা নির্বাচনের বেশ কিছুদিন আগেই সেখানকার যুব কংগ্রেস নেতা মানস ঘোষ যোগদান করেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আর এরপরেই মানস ঘোষকে তৃনমূল কংগ্রেসের জেলা সহ-সভাপতি পদে বসানো হয়। কিন্তু, কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেই সহ-সভাপতির মত গুরুত্ত্বপূর্ন পদ পেয়ে দিনদিন তাঁর দাবি বাড়তেই থাকে। রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতিতে পার্থী হওয়ার জন্য স্ত্রী ও নিজের জন্য দলের কাছে টিকিট দাবি করে বসেন মানসবাবু। দলের তরফে মানসবাবুর স্ত্রীকে প্রার্থী পদ দেওয়া হলেও তাঁকে টিকিট দেওয়া হয় না। ফলে নির্দল প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এই তৃনমূল নেতা। আর এই পরই উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। জেলা তৃণমূল সূত্রের খবর, এদিন জেলার সহ-সভাপতি পদে থাকা মানস ঘোষকে সরিয়ে দীনদয়াল কল্যাণীকে আনা হয়। যদিও এ প্রসঙ্গে মানস ঘোষের বক্তব্য, আমি এ বিষয়ে দলের তরফে কোনো চিঠি পাই নি। অন্যদিকে, শুধু জেলার সহ-সভাপতি পদে নয়, কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূলের সভাপতি জয়ন্ত সাহাকে জেলার সহ-সভাপতি পদে বসিয়ে সেখানকার চেয়ারম্যান কার্তিকচন্দ্র পালকে ওই জায়গায় আনা হয়েছে। কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে কার্তিকচন্দ্র পাল এদিন জানান, দল আমাকে দায়িত্ব দেওয়ায় দায়বদ্ধতা বেড়ে গেল, সামনেই লোকসভা ভোট- সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। এদিকে দলীয় স্তরে এই বদল নিয়ে জেলা তৃনমূল সভাপতি অমল আচার্য বলেন, রাজ্য নেতৃত্ত্বের নির্দেশেই এই রদবদল। সবমিলিয়ে বিদ্রোহীদের বাদ দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে নতুন পদক্ষেপ উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃনমূলের, এখন দেখার ‘গোঁজ’ কাঁটা উপরে লোকসভা নির্বাচনে শেষ হাসি হাসতে পারে কিনা ঘাসফুল শিবির। আপনার মতামত জানান -