এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কবিগুরুর নামে শপথ করে মমতাকে চরম বার্তা, বড় লড়াইয়ের পথে রাজ্যপাল! কেঁপে উঠবে নবান্ন!

কবিগুরুর নামে শপথ করে মমতাকে চরম বার্তা, বড় লড়াইয়ের পথে রাজ্যপাল! কেঁপে উঠবে নবান্ন!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালকে যে ভাষায় আক্রমণ করেছে রাজ্য, তাকে অনুচিত বলেই আখ্যা দিয়েছেন সকলে। তবে এত কিছুর পরেও ঠান্ডা মেজাজের রাজ্যপাল নীরবতা পালন করায় গুঞ্জন তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে। অনেকে বলেন, অপেক্ষা করুন, সময় অনুযায়ী চরম পদক্ষেপ নেবেন রাজ্যপাল। অবশেষে সেই চরম পদক্ষেপের ব্যাপারে রাজ্যকে আভাস দিলেন সিভি আনন্দ বোস। বাংলা ভাষার সঙ্গে নিজেকে রপ্ত করে বাংলাতেই ভিডিও বার্তা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বচ্ছ করতে তিনি যে লড়াই শুরু করেছেন, তা যে শেষ পর্যন্ত চলবে, তার শপথ নিলেন বাংলার সংবিধানিক প্রধান।

প্রসঙ্গত, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সংঘাতের পরিবেশকে কেন্দ্র করে এদিন বাংলায় ভিডিও বার্তা দেন রাজ্যপাল। যেখানে রাজ্যকে করা হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “আমি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে শপথ কেটে বলছি, যে লড়াইয়ে নেমেছি এর শেষ পর্যন্ত আমি লড়ব।” অর্থাৎ সরকারি হুমকি হুঁশিয়ারি যে তিনি কেয়ার করেন না, তা স্পষ্ট করে নবান্নের সঙ্গে সংঘাতকে আরও তীব্র করল রাজভবন। পাশাপাশি আগামী দিন যদি রাজ্য সরকার এই ব্যাপারে নিজেদের শুধরে না নেয়, তাহলে যে তার ফল ভয়ঙ্কর হতে পারে, সেই বিষয়টিও বার্তার মধ্যে দিয়ে রাজ্যকে মনে করিয়ে দিলেন রাজ্যপাল।

বিরোধীদের দাবি, সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন রাজ্যপাল। রাজ্য সরকার ভেবে নিয়েছে, তারা শুধু আঘাত করবে, কিন্তু কোনো প্রত্যাঘাত আসবে না। তবে সাংবিধানিক প্রধানকে আঘাত করার ফল যে কি মারাত্মক হতে পারে, তা এই চরম বার্তার মধ্যে দিয়ে রাজ্যকে বুঝিয়ে দিলেন সংবিধানিক প্রধান। তবে রাজ্য তা কতটা বুঝবে, সেটাই একটা প্রশ্নের বিষয়। কারণ যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ধরনায় বসার হুমকি দিয়েছেন, তাতে এখন ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার নেশা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা নিজেদের দখলে রাখার নেশায় হয়তো সরকার বুঁদ হয়ে রয়েছে। তবে রাজভবনের বিরুদ্ধে কাজ করতে গিয়ে নিজেদের বিপদ সরকার নিজেরাই ডেকে আনবে। রাজ্যপালের ভিডিও বার্তার পর অন্তত তেমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর হুমকি, হুঁশিয়ারিতে এতদিন সকলে ভাবত, হয়তো রাজভবনের বিরুদ্ধে একাই লড়তে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজভবন হয়তো কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করবে না। কিন্তু রাজ্যপাল এবার সুর বদলালেন। বুঝিয়ে দিলেন, তিনি অন্যায় সহ্য করবেন না। চরম বার্তা দিলেন রাজ্য সরকারকে। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর একতরফা আক্রমণ, রাজ্যপালকে অমান্য করার চেষ্টা, সবটাই মাটি হতে বসেছে। রাজ্যপালের তরফে লড়াইয়ের শেষ দেখার কথা বলা মানে, শেষবারের মত নবান্নকে সমঝে দেওয়া। কিন্তু এরপরেও যদি নবান্নের সুমতি না হয়, তাহলে সেই নবান্নকে কাঁপিয়ে তুলতে যে রাজ্যপালের খুব একটা বেশি সময় লাগবে না, তা জানে সরকার পক্ষও।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!