এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > ক্যাম্পাসে চোখ রাঙানির দিন শেষ, মমতার বারোটা বাজালেন রাজ্যপাল! স্বস্তি শিক্ষা মহলে!

ক্যাম্পাসে চোখ রাঙানির দিন শেষ, মমতার বারোটা বাজালেন রাজ্যপাল! স্বস্তি শিক্ষা মহলে!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখতে সব চেষ্টা করেছে রাজ্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইনের কথা তুলে ধরে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা যে তার হাতেই রয়েছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যপাল। অনেকে বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সন্ত্রাসের আতুরঘর তৈরি করতে এবং নিজেদের ইচ্ছেমতো সবকিছু পরিচালনা করতেই উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখতে চেয়েছে রাজ্য। তবে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। আর সেই কারণেই তিনি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় যোগ্য ব্যক্তিদের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেছেন। যার পরেই আজ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে রাজ্যপাল জানিয়ে দেন, ক্যাম্পাসে বন্ধ করতে হবে হিংসা। শাস্তি দিতে হবে নরখাদকদের।

প্রসঙ্গত, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মাঝেই সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, “ক্যাম্পাসে নরখাদকদের তদন্তের আওতায় আনতে হবে। হিংসামুক্ত করতে হবে ক্যাম্পাস।” অনেকের প্রশ্ন, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যখন সংঘাত চলছে তখন রাজ্যপাল হঠাৎ করে কেন ক্যাম্পাসে হিংসার কথা তুলে ধরলেন! তাহলে কি তার উপাচার্য নিয়োগে প্রধান কারণ ক্যাম্পাসে ভয় এবং সন্ত্রাসের পরিবেশ। সেই ভয় এবং সন্ত্রাসকে কাটাতেই কি তিনি হস্তক্ষেপ করছেন!

এক পক্ষের যুক্তি, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য হচ্ছেন রাজ্যপাল। তাই রাজ্যপাল নিজের ক্ষমতা বলে আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ঠিক করতে পদক্ষেপ নিতেই পারেন। এতে সরকারের কিছু বলার নেই। আর সরকার বললেই যে তা রাজ্যপালকে শুনতে হবে, তেমন কোনো বিষয় নেই। বিরোধীদের দাবি, রাজ্যের প্রতিটি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করছে শাসক দল। তাদের কথা মতোই চলতে হচ্ছে উপাচার্য থেকে শুরু করে অধ্যাপকদের। আর তা না করলেই তাদের উপর নেমে আসছে কোপ। ভয়ে উপাচার্যরা কথা পর্যন্ত বলতে পারছেন না। তাই সেই ভয় কাটাতেই এবার রাজ্যপাল স্পষ্ট করলেন, নরখাদকদের দিন শেষ হয়ে এসেছে। এদিকে রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকে আবার এটাও বলছেন, এই বার্তা দিয়ে রাজ্যপাল কি নবান্নের ১৪ তলাকে সমঝে যাওয়ার সময় দিলেন!

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যের একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয় যখন ভয় এবং সন্ত্রাসের পরিবেশ, তখন সরকার সেখানে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। আর তা নিয়েই রীতিমতো ক্ষিপ্ত রাজভবন। তাই উপাচার্য থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রী, সকলের মনে ভয়ের পরিবেশ কাটাতেই এবার পথে নেমে পড়লেন রাজ্যপাল। বুঝিয়ে দিলেন, সরকার তার বিরুদ্ধে পথে নামলেও তার কিছু যায় আসে না। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তির পরিবেশ ফেরাতে এবং নরখাদকদের শাস্তি দিতে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবেন। আর রাজ্যপালের এই বক্তব্য যে চরম চাপে ফেলে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!