এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আইনি জয় রাজ্যপালের! বাংলায় বার্তা দিয়ে মমতাকে কড়া জবাব বোসের !

উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আইনি জয় রাজ্যপালের! বাংলায় বার্তা দিয়ে মমতাকে কড়া জবাব বোসের !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত বর্তমানে খবরের শিরোনামে। রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করার পরেই রাজ্যপালকে যা ইচ্ছে তাই বলে আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি রাজ্যপালের কথা শুনলে উপাচার্যদের অর্থনৈতিক বাধা তৈরি করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। আর এই পরিস্থিতিতে সকলের মনে একটাই প্রশ্ন উঁকি ঝুঁকি মারছিল, তাহলে কে নিয়োগ করতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য! কার হাতে থাকবে বিশ্ববিদ্যা লয়ের ক্ষমতা! অবশেষে এই ব্যাপারে খাঁটি বাংলায় বার্তা দিয়ে আইন যে তাকেই উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে ক্ষমতা দিয়েছে, তা স্পষ্ট করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

প্রসঙ্গত, বাংলা ভাষায় পারদর্শী না হলেও বাংলার মানুষের জানার জন্য এদিন সেই ভাষাতেই একটি ভিডিও বার্তা দেন রাজ্যপাল। যেখানে খন্ডিত বাংলায় রাজ্যপাল বুঝিয়ে দেন, রাজ্যের পক্ষ থেকে উপাচার্য নিয়োগ করা হলেও তাকে আদালত অবৈধ বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। যার পরে তিনি অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেন। কিন্তু রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে তাকে ভুল বলে কটাক্ষ করা হয়। তবে এতপবের পরেও সেই রাজভবনের সিদ্ধান্ততেই আস্থা রাখে আদালত। এদিন সেই বার্তা দিয়ে রাজ্যকে রাজ্যপাল বুঝিয়ে দেন, আইনের উর্ধ্বে নয় রাজ্য প্রশাসন এবং রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত ময়দানে নামেন। সরকার পক্ষের সকলেই বুঝিয়ে দেন, রাজ্যপালের নাকি এই অধিকার নেই! তিনি সংবিধানের বাইরে বেরিয়ে কাজ করছেন। তবে সরকার যখন রাজ্যপালকে চরম আক্রমণ করছে, তখন রাজ্যপালের পক্ষ অবলম্বন করেছে বিরোধী দল বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার, সকলেই একবাক্যে বলেছেন, রাজ্যপাল যা করছেন, আইন মেনে করছেন। তবে শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি পর রাজভবন কি বলবে, সেদিকে নজর ছিল সকলের। অবশেষে এই ব্যাপারে আইনের কথা তুলে ধরে বাংলার সাংবিধানিক প্রধানও বুঝিয়ে দিলেন, আইন মেনেই উপাচার্য নিয়োগ করেছেন তিনি। এক্ষেত্রে সরকারের হুমকি, হুঁশিয়ারিতে যে তিনি বিন্দুমাত্র বিচলিত নন, তা বাংলায় ভিডিও বার্তার মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট করলেন সি ভি আনন্দ বোস।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এবার হয়তো হম্পাই ডম্পাই শেষ হতে চলেছে রাজ্য সরকারের। উপাচার্য কাদের কথামত চলবে কিভাবে নিয়োগ হবে, তা নিয়ে হয়তো নিহিত স্বার্থ ছিল রাজ্যের। রাজ্য চেয়েছে, তাদের হাতেই থাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা। কিন্তু রাজভবন চেয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয় গুলো শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করুক উপাচার্যের কথা মত। তাই এক্ষেত্রে রাজ্য যাতে গা জোয়ারি না করে তার জন্য সঠিক ব্যক্তিদের উপাচার্য করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তার সহ্য করতে না পেরে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কতই না কথা বলতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু এত কিছু বলে আদৌ কি কোনো লাভ হল? এখন অবশ্য সরকার পক্ষ বলতে পারে, রাজ্যপাল তো আইনের উর্ধ্বে নয়, আদালতের পক্ষ থেকে তো এখনও পর্যন্ত বলা হয়নি যে, রাজ্যপাল যা করেছেন, ঠিক করেছেন। তাই আদালত কি বলবে, সেদিকে নজর রাখা উচিত। তবে সরকার এ কথা বললেও, দিনের শেষে আরও একটি প্রশ্ন উঠছে। সেটা হচ্ছে, তাহলে কি যে সংবিধানের শপথ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, সেই সংবিধানের অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত রাজভবনকেও তিনি মানবেন না? অমান্য করবেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে? উত্তরে কি বলবে সরকার, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!