মমতার স্বপ্নের দফারফা, রাজ্যপালের পদক্ষেপ কি! শুভেন্দু বানীতে হট্টগোল বিধানসভায়! বিজেপি রাজনীতি রাজ্য September 7, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আজ রাজ্য বিধানসভায় পয়লা বৈশাখ বাংলা দিবস করার জন্য প্রস্তাব এনেছে রাজ্য সরকার। যা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। তবে সেই আলোচনায় যোগ দেওয়ার আগেই রাজ্যের প্রত্যাশা যে পূরণ হবে না, তা স্পষ্ট করলেন বিরোধী দলনেতা। কেননা রাজ্য সরকার পয়লা বৈশাখ পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করতে চেয়ে হয়তো বা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোড়ে তা পাস করে দিতে পারে। তবে তারপর সেই প্রস্তাব যাবে রাজভবনে। আর সেখান থেকে অনুমোদন পেলেই তা লাগু করা সম্ভব হবে। কিন্তু রাজভবনকে আদৌ রাজ্যের এই প্রস্তাব অনুমোদন করবে! তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, পয়লা বৈশাখে বাংলা দিবস নিয়ে রাজ্যের প্রস্তাব সম্পর্কে বিরোধী দলনেতাকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দুবাবু স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, কোনোমতেই এই প্রস্তাবে সই করবেন না রাজ্যপাল। বরঞ্চ এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করা, বিধান পরিষদ গঠন করার ক্ষেত্রে যেমন রাজভবন সংকেত দেয়নি, তেমনই বাংলা দিবস করার এই প্রস্তাবের স্বপ্নও পূরণ হবে না রাজ্যের। অর্থাৎ বিরোধী দলনেতার বক্তব্যে একটা জিনিস স্পষ্ট যে, তিনি কিন্তু যথেষ্ট আত্মপ্রত্যয়ী রাজভবনের ভূমিকায়। বিধানসভায় বাংলা দিবস পালন করার জন্য পয়লা বৈশাখ হয়তো সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে পাশ করে নিতে পারে রাজ্য। কিন্তু রাজভবন তাতে সায়ে দেবে না। ফলে রাজ্যের ইচ্ছা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের দফারফা যে অবশ্যম্ভাবী, তাতে একশো শতাংশ নিশ্চিত বিরোধী দলনেতা। তাই বিধানসভায় এই প্রস্তাবের আলোচনায় যোগ দেওয়ার আগেই তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সেই কথা জানিয়ে দিলেন। তবে শুভেন্দু অধিকারী যখন এই কথা বলছেন, তখন তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলছে শাসকদলের ঘনিষ্ঠ মহল। তাদের দাবি, রাজ্যপালের বিভিন্ন পদক্ষেপে স্পষ্ট হয়েছে যে, তিনি বিজেপির কথা মত কাজ করছেন। বিভিন্ন জায়গায় রাজ্যের কাজে বাধা দিচ্ছেন রাজ্যপাল। এমত পরিস্থিতিতে বিধানসভায় পয়লা বৈশাখ বাংলা দিবস করার জন্য প্রস্তাব পাস হওয়ার পরেও রাজ্যপাল তাতে বাধা দেবেন, না সম্মতি দেবেন, সেই খবর কি করে আগেই পৌঁছে গেল শুভেন্দু অধিকারীর কাছে? কি করে তিনি আগেভাগেই এতটা নিশ্চিত হয়ে গেলেন যে, রাজ্যপাল তাতে সমর্থন করবেন না! তাহলে কি রাজ্যপালের সঙ্গে প্রতি ক্ষণে কথা হচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলের! বিজেপির কাছ থেকে শুনেই কি সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান! গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল অবশ্য তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাদের পাল্টা দাবি, রাজ্যপাল অগনতান্ত্রিক বিষয়কেই স্বীকৃতি দেন না। এর আগেও বিধান পরিষদ গঠন সহ মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার প্রস্তাব বিধানসভায় পাস করে তা রাজভবনে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেই সব সিদ্ধান্ত যে অনৈতিক, তা রাজভবনের সবুজ সংকেত না দেওয়ার বিষয়ে পরিষ্কার। তাই ঐতিহাসিক স্মৃতিকে বিকৃত করে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে অস্বীকার করে পয়লা বৈশাখ “বাংলা দিবস” পালন করার যে সিদ্ধান্ত সরকার নিচ্ছে, তাতেও রাজভবন সায় দেবে না বলেই বিশ্বাস গেরুয়া শিবিরের। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছরই রাজভবনের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা হয়েছে। আর তারপরেই তার বিরোধিতা করেছিল রাজ্য রাজ্যের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল কোনোমতেই এই দিনটিকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে পালন করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে পয়লা বৈশাখ যাতে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা হয়, তার জন্য বিধানসভায় আজ প্রস্তাব আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। আর তার মাঝেই রাজ্য নিজেদের মতো করে প্রস্তাব আনলেও, রাজভবনের সবুজ সংকেত না পায়ার কারণে এই প্রস্তাব প্রস্তাবই থেকে যাবে বলে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -