এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অধিবেশনের মাঝেই মারাত্মক অভিযোগ শুভেন্দুর, লজ্জায় পড়ে গেলেন মমতা! ড্যামেজ কন্ট্রোলে স্পিকার!

অধিবেশনের মাঝেই মারাত্মক অভিযোগ শুভেন্দুর, লজ্জায় পড়ে গেলেন মমতা! ড্যামেজ কন্ট্রোলে স্পিকার!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বিরোধীদের তরফে বারবার দাবি করা হয়, বিধানসভার অধিবেশন সরাসরি ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সামনে আনা হোক। তবে শুধুমাত্র বাজেট অধিবেশন ছাড়া এবং কদাচিৎ সরকারের ইচ্ছা ছাড়া তেমন ভাবে অধিবেশন সম্প্রচারিত করা হয় না। তবে আজ রাজ্যের পক্ষ থেকে পয়লা বৈশাখ বাংলা দিবস করার প্রস্তাবের জন্য অধিবেশন কক্ষের ভিডিও সম্প্রচার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে সেই ভিডিওগ্রাফিতেও সরকারের জারিজুরি ধরে ফেললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অধিবেশন চলছিল। বিরোধী বিধায়করা বক্তব্য রাখছিলেন। কিন্তু সেই সময় ভিডিওতে তাদেরকে না দেখিয়ে শুধুমাত্র বিধানসভার অধ্যক্ষ এবং সরকার পক্ষকে দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

প্রসঙ্গত, রাজ্য বিধানসভার প্রত্যেকটি অধিবেশন দেখানো না হলেও আজকের দিনের অধিবেশন ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে রাজ্যবাসীকে দেখানোর কথা ছিল। সেই অনুযায়ী তার সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছিল। তবে বিরোধী দলের বিধায়ক শংকর ঘোষ থেকে শুরু করে অগ্নিমিত্রা পলরা বক্তব্য রাখার সময় তাদের দিকে ক্যামেরা না থাকায় তাদের বক্তব্য শোনা গেলেও, তাদের দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না। অধিবেশন চলাকালীন বাইরে গিয়ে এই বিষয়টি নজরে পড়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। পরবর্তীতে তাকে অধ্যক্ষ বলার জন্য আহ্বান জানালে প্রথমেই এই বিষয়টি তুলে ধরেন শুভেন্দুবাবু তিনি বলেন, “মাননীয় অধ্যক্ষ মহোদয় বিধানসভার সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু ক্যামেরাগুলো আপনার দিকে ঘুরে রয়েছে।” আর শুভেন্দুবাবুর এই অভিযোগ যে অত্যন্ত সত্যি, তা বুঝতে পারে সরকারপক্ষও। মুহূর্তের মধ্যে সেই ক্যামেরা ঘুরে যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকে। তার বক্তব্য সম্প্রচারের বিষয়টি দেখতে পায় সকলে। ড্যামেজ কন্ট্রোল করে বিধানসভার অধ্যক্ষ বলেন, “আপনি ক্যামেরার সামনে থাকতে পছন্দ করেন। আপনাকে ক্যামেরা দেখাচ্ছে। আপনাকে সকলে দেখতে পাচ্ছে।” পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ক্যামেরা এতক্ষন আপনার দিকেই ঘুরেছিল। আমি বাইরে থেকে দেখে এসেছি বলেই বলছি।”

একাংশের প্রশ্ন, বিধানসভার অধ্যক্ষ কি আদৌ কোনো বিরোধী দলনেতাকে এই ধরনের কথা বলতে পারেন? অধ্যক্ষ তো নিরপেক্ষ হবেন। সেখানে সরাসরি সম্প্রচারের ক্ষেত্রে সকলকে দেখানো হবে, এই দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু সেই বিরোধী দলনেতাকে ক্যামেরার সামনে থাকতে পছন্দ করেন বলে সরকারের কাছে কি নিজের পয়েন্ট বাড়ানোর চেষ্টা করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়! অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীর এই ক্যামেরার সম্প্রচারের অভিযোগটি যে অত্যন্ত সত্যি, তা হয়তো জানেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। হয়তো তিনিও নীরবে চুপচাপ বসে থেকে ভেতরে ভেতরে লজ্জায় পড়ে গিয়েছিলেন। তবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে শেষ পর্যন্ত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে ময়দান সামলানোর চেষ্টা করলেন অধ্যক্ষ সাহেব। কিন্তু কতদিন এইভাবে ঘোলা জলে মাছ ধরবে রাজ্যের শাসক দল!

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যামেরা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর এই অভিযোগ মারাত্মক কিছু নয়। ক্যামেরায় শুভেন্দু বাবুরা না থাকলে তাদের এমন কিছু ক্ষতি হবে না। কিন্তু যখন সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে, সেখানে কেন একতরফা দেখানো হবে? কেন শুধুমাত্র সরকার পক্ষের নেতা-মন্ত্রীদের ভিডিও, তাদের বলা, তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখাবে বিধানসভার ক্যামেরা? কেন সেখানে বিরোধী নেতাদের ভাষন দেওয়ার ভিডিও থাকবে না? আসলে এই রাজ্যের সরকার যে কতটা নির্লজ্জ এবং কতটা দেউলিয়াপনার রাজনীতি শুরু করেছে, তা প্রতি পদে পদে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিরোধীদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীকে। তাই রাজনৈতিকভাবে যেমন তিনি পাল্লা দিতে পারছেন না, তেমনই ছোটখাট বিষয়, সামান্য বিধানসভার একটি আলোচনায় সেই বিরোধী নেতাদের ভিডিও দেখানো যাবে না, এটাতেও মাথা ঘামাতে শুরু করেছেন শাসকদলের কর্তা কর্ত্রীরা। তবে এসব করে কত দিন আর টিকে থাকবে সরকার বাহাদুর! প্রশ্নটা তুলছে সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!