এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার হিম্মতের বলিহারি! ভরা বিধানসভায় রাজ্যপালকে আবার আক্রমণ! দেখে নেওয়ার হুমকি!

মমতার হিম্মতের বলিহারি! ভরা বিধানসভায় রাজ্যপালকে আবার আক্রমণ! দেখে নেওয়ার হুমকি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের হুমকি, হুশিয়ারির পর সকালেই রাজ্যপাল বার্তা দিয়েছিলেন, তিনি এসবে ভয় পান না। তিনি তার লড়াই চালিয়ে যাবেন। তবে এর কিছু সময়ের মধ্যেই বিধানসভায় বাংলা দিবস প্রস্তাবের আলোচনায় সেই রাজ্যপালকে যে তিনি কেয়ার করেন না, তা আবার স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রীতিমতো সংবিধানকে অমান্য করে আইন ব্যবস্থাকেও দেখে নেওয়ার হুমকি দিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই সেই অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু বিধানসভায় কেন আবার রাজ্যপালকে আক্রমণ করে বসলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী!

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পয়লা বৈশাখ বাংলা দিবস করতে চেয়ে প্রস্তাব আনা হয়। আর সেই প্রস্তাবেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে রীতিমতো তিনি যে রাজভবনের উর্ধ্বে, তা বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রস্তাবের বিপক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্য তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে এই প্রস্তাব বিধানসভায় পাস করাতেই পারে। কিন্তু রাজভবন তাদের সায়ে দেবে না। এক্ষেত্রে বিধান পরিষদ, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার বিলের মতই এই বাংলা দিবস প্রস্তাবের অবস্থা হবে।” আর তারপরেই প্রস্তাবের পক্ষে বক্তব্য রাখতে উঠে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিরোধী দলনেতা বললেন, রাজ্যপাল নাকি তাতে সই করবেন না! আমি বলছি, সই না করলেও আমার কিছু যায় আসে না। আমি দেখতে চাই, কার বেশি ক্ষমতা। জনতার ক্ষমতা বেশি, নাকি কোনো একজন মনোনীত মানুষের ক্ষমতা বেশি! কেউ যদি সই নাও করে, তাহলেও আমরা এই দিন বাংলা দিবস পালন করব।” আর মন্ত্রগুপ্তির শপথ নিয়ে যিনি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারে ভরা বিধানসভায় রাজ্যপালেকে নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য করায় রীতিমতো হতবাক বিরোধীরা।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, তিনি নাকি প্রয়োজনে রাজভবনের সামনে ধরনা দেবেন। পাল্টা রাজ্যপাল তাকে স্বাগত জানিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, রাজ্যের চাপের কাছে তিনি মাথা নত করবেন না। আর তার মাঝেই বিধানসভায় আরও একবার রাজ্যপালকে যে তিনি তোয়াক্কা করেন না, তা স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী যার ফলে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত ঔদ্ধত্য আসছে কোথা থেকে! এতদিন তিনি বিরোধীদের কথা শুনতেন না। এবার তিনি যেভাবে গণতন্ত্রের পিঠস্থান বিধানসভায় রাজ্যপালের কথাও না শোনার হুঁশিয়ারি দিলেন, তা তো রীতিমতো সংবিধান, গণতন্ত্রকে দুমড়ে মুচড়ে দিচ্ছে! কেন তিনি রাজ্যপালকে মানবেন না? কেন একুশে আইনের মত তারাই আইন হয়ে দাঁড়াবে রাজ্যে! তাহলে রাজভবনের প্রাসঙ্গিকতা কোথায়! মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভার বক্তব্য অত্যন্ত মারাত্মক বলেই দাবি বিরোধীদের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আজ সকালেই রাজ্যপাল রাজ্যকে চরম বার্তা দিয়েছেন। আর তার মধ্যেই বিধানসভায় বাংলা দিবস নিয়ে রাজ্যপাল সই না করলেও যে তার কিছু আসে যায় না, তা বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে নবান্ন বনাম রাজভবনের সঙ্ঘাত যে সব সীমাকে লংঘন করতে চলেছে, তা এক কথায় পরিষ্কার। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যপালকে না মানার এই হুঁশিয়ারি গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত বিপদজনক বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!