নির্বাচনের মধ্যেই কি এই পাঁচ হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থী নতুন সমস্যায় পড়তে পারেন? জল্পনা চরমে কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য March 29, 2019 লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে পুরোদমে – সব রাজনৈতিক দলই চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রচারে ব্যস্ত। আর এর মাঝেই বঙ্গ-রাজনীতির অন্যতম বিতর্কিত বিষয় নিয়ে বড় তথ্য সামনে এল। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তর থেকে এক সাংবাদিক বৈঠকে একটি স্টিং অপারেশনের ভিডিও প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা যায় ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক শীর্ষনেতা তোয়ালেতে মুড়ে গোছা গোছা টাকা নিচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই, সেই স্টিং ভিডিও সামনে আসার পরে তোলপাড় হয়ে যায় রাজ্য-রাজনীতি। যদিও, প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল নেতৃত্ব জানায়, এই ভিডিও আদতে জাল। পরবর্তীকালে, অবশ্য নিজেদের জায়গা থেকে সরে এসে তৃণমূল নেতৃত্ব জানায়, ওই টাকা আসলে দলের জন্য চাঁদা হিসাবে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তাতেও যে আমজনতার মনের কনের কুয়াশা সরেনি তা বুঝেই, নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং জানিয়ে দেন, আগে জানলে তিনি নাকি সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের বিধানসভার টিকিটই দিতেন না। একইসঙ্গে, তিনি জানান, আমজনতা যেন সব মান-অভিমান ভুলে, রাজ্যের ২৯৪ টি আসনে মমতা বান্দ্যোপাধ্যায়কেই মুখ মনে করে ভোট দেন। তৃণমূল নেত্রীর আবেদনে সাড়াও দেন আমজনতা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে নারদ-কাণ্ডে নাম জড়ানো প্রাক্তন মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা, এই বিতর্কে নাম জড়ানো প্রায় সকল বিধায়ককেই রাজ্যের মন্ত্রী করেন তৃণমূল নেত্রী। এরপর গঙ্গা দিয়ে জল অনেকদূর গড়িয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বচনে এই নারদ-কাণ্ডে নাম জড়ানো পাঁচ সাংসদকে আবারো টিকিট দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। এঁরা হলেন – সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও অপরূপা পোদ্দার। এঁদের মধ্যে আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের করা একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজ কলকাতা হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই বড় তথ্য সামনে আনল। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর এজলাসে সিবিআইয়ের আইনজীবী কৌশিক চন্দ জানান, নারদা দুর্নীতির তদন্তপ্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যেই এই নারদাকাণ্ডের তদন্তে চার্জশিট আদালতে পেশ করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। গান্ধীনগরের ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি থেকে রিপোর্ট আসার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে, রিপোর্ট হাতে চলেই চার্জশিট পেশ করা হবে। আর যদি এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট না আসে, তবে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই চার্জশিট দেবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আর সিবিআইয়ের আইনজীবীর দেওয়া এই তথ্যের ভিত্তিতেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চরমে উঠেছে, তাহলে কি লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই এই স্টিং ফুটেজে নাম জড়ানো তৃণমূল কংগ্রেসের এই পাঁচ প্রার্থীকে নতুন সমস্যায় জড়াতে হবে? উত্তরের জন্য আপাতত আগামী এক মাস অপেক্ষা করতে হবে। আপনার মতামত জানান -