ফেরার ভারতী ঘোষ ও তাঁর দেহরক্ষী? সিআইডি চার্জশিটে আর কি বিস্ফোরক তথ্য? মেদিনীপুর রাজ্য July 1, 2018 অবশেষে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার তোলাবাজি মামলায় শুক্রবার ঘাটাল আদালতে নিজেদের চার্জশিট পেশ কলল সিআইডি। সূত্রের খবর, দাসপুরের ব্যাবসায়ী চন্দন মাঝির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হলে এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ, তাঁর ব্যাক্তিগত দেহরক্ষী সুজিত মন্ডল, ভারতী ঘোষের স্বামী এমএভি রাজু সহ চির পুলিশ আধিকারিককে ফেরার দেখিয়ে আদালতে জমা পড়ে চার্জশিট। সিআইডির দাবি, এই মামলায় তাঁরা এখনও পর্যন্ত চার পুলিশ আধিকারিক ইন্সপেক্টর শুভঙ্কর দে, চিত্তরঞ্জন পাল, ওসি প্রদীপ রথ, সাব ইন্সপেক্টর দেবাশিস দাস সহ দাসপুরের ব্যাবসায়ী বিমল গড়াই ও ভারতী ঘোষের মাদুরদহের ফ্ল্যাটের দেখভালের দ্বায়িত্বে থাকা রাজমহল সিংহকে গ্রেপ্তার করেছে। জানা গেছে, এই ছ জনের মধ্যে তিন জনের বিচারকের সামনে গোপন জবানবন্দীর ওপর নির্ভর করেই এই চার্জশিটে প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ ও তাঁর দেহরক্ষী সুজিত মন্ডলকে অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করেছে সিআইডি। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। সূত্রের খবর, প্রত্যেককেই ভারতীয় দন্ডবিধির 384,385,389(তোলাবাজি), 467,468,471(জালিয়াতি), 119,403,120 বি ধারায় দুর্নীতি দমন আইনে অভিযুক্ত বলা হয়েছে। রাজ্য গোয়েন্দাসংস্থার দাবি, সিআইডির পক্ষ থেকে 50 জনের এক দল এই ভারতী ঘোষের মাদুরদহের বাড়িতে গিয়ে দামি মদ, বিপুল সম্পত্তি ও 2 কোটি 40 লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল। এছাড়াও দুই পুলিশ আধিকারিক শুভঙ্কর দে ও চিত্তরঞ্জন পালের কাছ থেকেও পাওয়া গিয়েছিল 60 লক্ষ টাকা। এমনকী ভারতী ঘোষের বাশদ্রোনির বাড়ির ফ্ল্যাট, যেটি ভাড়া নিয়ছিলেন তাঁরই দেহরক্ষী সুজিত মন্ডল, সেই ফ্ল্যাট থেকেও পাওয়া গেছিল দু কোটি টাকা। আর এই বাশদ্রোনীর বাড়ি তল্লাশির পরেই সিআইডির তরফ থেকে “ভারতী ঘোষ” ইস্যুতে আর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এমনকী ভারতী ঘোষও সরকারের বিরুদ্ধে সোশাল সাইটে যে বিবৃতি দিচ্ছিলেন তাও বন্ধ হয়ে যায়। আর এরপরই দুই শিবিরের মধ্যে সমঝোতা নিয়ে চরম জল্পনা তৈরি হলে ফের 90 দিন পর সিআইডির তরফে এই চার্জশিট অনেকটাই নতুন ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। সূত্রের খবর, সিআইডির তরফে 90 দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দিতে না পারায় 6 জন অভিযুক্তই জামিন পেয়েছেন। আর তাই প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষেরও আর জামিন পেতে কোনোও অসুবিধাই রইল না বলে মনে করছে আইনজ্ঞ মহল। আপনার মতামত জানান -