দলীয় বিধায়ক ভাঙ্গানোর আশঙ্কায় শিবসেনা, এখনও অব্যাহত জোট জাতীয় November 11, 2019 অনেকদিন হল মহারাষ্ট্রে ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকার গঠন নিয়ে দর কষাকষি চলছেই। বস্তুত, এবারে মহারাষ্ট্রে ফলাফল খুব একটা ভাল হয়নি গেরুয়া শিবিরের। সরকার গঠন করবার জন্য যত সংখ্যা লাগে, তা তাদের কাছে নেই। যার ফলে শিবসেনার দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বিজেপিকে চাপে রাখতে পাল্টা কৌশল করে শিবসেনা। মুখ্যমন্ত্রীর পদ যদি তারা না পায়, তাহলে তারা বিজেপিকে সমর্থন করবেন না বলে জানিয়ে দেয়। আর এরপরই আরও চাপে পড়তে শুরু করে ভারতীয় জনতা পার্টি। জানা গেছে, গত শুক্রবার রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। কিন্তু দেবেন্দ্র ফড়নবিশকেই তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে সমর্থন করার আগ্রহ দেখাতেও আবেদন জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিজেপি কিভাবে প্রমান করবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে এবার বিজেপিকে এতদিন চাপে রাখা শিবসেনা এবার চাপে পড়তে শুরু করল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। তাদের দাবি, দলীয় বিধায়ক ভাঙানোর খেলায় নেমেছে বিজেপি। সূত্রের খবর, এদিন শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত মহারাষ্ট্রের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে অ্যাডলফ হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছেন। যা বিজেপি বনাম শিবসেনার সম্পর্কের তিক্ততাকে আরও বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে সরকার গঠন করবে, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। জানা গেছে, এদিন শিবসেনার মুখপাত্র সামনায় সঞ্জয় রাউত লেখেন, “হিটলারের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে দাসত্বের অবসান হয়েছে। মহারাষ্ট্রে আর বিধায়ক কেনাবেচা সম্ভব নয়।” আর সঞ্জয় রাউতের এই মন্তব্য যে পরোক্ষে বিজেপিকে কটাক্ষ করেই তা বুঝতে বাকি নেই রাজনৈতিক মহলের। তবে এখন শিবসেনার পরোক্ষে বিজেপিকে কেন্দ্র করেই এই উক্তি মহারাষ্ট্রে কি প্রভাব ফেলে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলেই। আপনার মতামত জানান -