‘মিনি সারদার’ মাথারা ঘুরে বেড়াচ্ছে দাপটে – ক্ষোভ বাড়ছে অনুব্রত-গড়ে মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য September 1, 2018 সারদা চিটফান্ড মামলায় সুদীপ্ত সেন এখনো জেলের ঘানি টানছেন। তবে ‘মিনি সারদা’র কর্তারা কেন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াবেন? কেন পুলিশ তাদের ধরার ব্যাপারে এখনো নীরব ভূমিকা পালন করছে? প্রশ্ন উঠছে আমানতকারীদের তরফ থেকে। পুলিশের উপর থেকে ভরসা হারিয়েছেন মদন ধীবর, মোহন ধীবরের মতো আমানতকারীরা। তাই এবার সিআইডি তদন্তের আর্জি জানিয়ে ভবানী ভবনে ছুটেছেন তাঁরা। এমনকি আবেদনের কপি পাঠানো হয়েছে জেলা পুলিশের সর্বস্তরেই। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের হাজার হাজার মানুষ সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির শিকার – চড়া সুদের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষে ঠকিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে সারদার কর্ম-কর্তারা বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের ২১ জুলাই ময়ূরেশ্বর থানার পুকুরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মিনি সারদা চিটফান্ডের মালিক সুশান্ত ঘোষ ওরফে বাপী সহ আরো ১০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন ওই এলাকার আকুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মদন ধীরব নামের এক আমানতকারী। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এরপর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির জামিন অযোগ্য ৪২০, ৪০৯ সহ একাধিক ধারার মামলা শুরু হয়। কিন্তু তারপরই অপ্রত্যাশিতভাবে পরিবার সহ আত্মগোপন করে ওই চিটফান্ড কর্তা। তবে, রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক রায় এমনটা হওয়ায় বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি ওসিকে অবিলম্বে ওই দুই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেবেন বলেই আশ্বাস দিলেন। ইতিমধ্যেই, ক্ষুব্ধ আমানতকারীরা তাকে গ্রেফতার দাবীতে বিভিন্ন সময়ে দফায় দফায় পথ অবরোধ বা বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এমনকী ভাঙচুরও করা হয়েছে অভিযুক্তের বাড়িতে। পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে সিলও করে দেওয়া হয়েছে তার বাড়ি। সুশান্ত ঘোষ ফেরার হলেও অভিযুক্ত আর দুজন কর্তা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ পুলিশ দেখেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মহলে। এখন প্রশাসন কোনো সক্রিয় ভূমিকা নেয় কিনা তার জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন আমানতকারীরা। আপনার মতামত জানান -