জঙ্গলমহলে চূড়ান্ত বিড়ম্বনায় বিজেপি, পঞ্চায়েতে জয়ীদের এখনো ঘরে ফেরানো যাচ্ছে না পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য September 10, 2018 দলবদলের আশঙ্কায় কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির নব নির্বাচিত বিজেপি প্রতিনিধিদের এলাকায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই তাঁদের সবার অলক্ষ্যে এলাকা থেকে দূরে ভিন রাজ্যে রাখা হয়েছে। কারণ গ্রামে থাকলেই তাঁদের কারো কারো তৃণমূলে যোগদানের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই আঁচ পাওয়া গিয়েছে বিজেপি সূত্র থেকে। এদিকে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতি গঠন পিছিয়ে যাওয়ার ফলে এলাকায় ফিরতেও দেরি হচ্ছে বিজেপির জয়ী সদস্যদের। পঞ্চায়েত সমিতির কাজ সামলানোর জন্য সেখানে বিডিওকেই প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন কবে হবে,তার দিনক্ষণ এখনো স্থির হয়নি। এমনটাই জানা গেল বিডিওর কাছ থেকে। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে, জেলার মধ্যে কেশিয়াড়িতেই বিরোধীদের তুলনায় বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ। গত ৪ সেপ্টেম্বর পঞ্চায়েত সমিতি গঠনের দিন ঠিক হলেও ওদিন গন্ডগোলের জেরে কর্মসূচি ব্যাহত হয়। এর জেরে পঞ্চায়েত সমিতি গঠনে নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপর পঞ্চায়েত সমিতি গঠন বন্ধ হয়ে যায়। প্রশাসনের তরফ থেকে এখনো বোর্ড গঠনের দিন নির্ধারণ করা হয়নি। ওদিকে পঞ্চায়েত সমিতি গঠন অধরা রয়েছে পিংলা,দাঁতন ২, নারায়ণগড় ও মোহনপুরেও। সেখানেও প্রশাসকই কার্যভার সামলাচ্ছেন আপাতত। এই পঞ্চায়েত সমিতিগুলিতে নিরঙ্কুশ জয়ী সদস্য থাকায় বোর্ডগঠন রদ করা হয়েছে। কবে যে বোর্ডগঠন হবে তা নিয়ে এখনো কোনো দিন ধার্য করা হয়নি। এই ইস্যু প্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রাক্তণ ব্লক সভাপতি জগদীশ দাস বলেন, তৃণমূলে চলে আসার ভয়ে বিজেপি নিজেদের জয়ী সদস্যদের অন্য জায়গায় আটকে রেখেছে। কী হবে সেটা আগামীতেই দেখা যাবে। ব্লক সভাপতি পবিত্র শীটের দাবী,বিজেপির নিজেদের দলীয় প্রার্থীদের উপরই কোনো ভরসা নেই। তাই ওভাবে আটকে রেখেছে। বিজেপি ভয় পাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ণে যদি দলীয় নব নির্বাচিত প্রতিনিধিরা গা ভাসায় তাহলে বোর্ডগঠন হাতছাড়া হয়ে যাবে। একথা বলার পর তিনি এটাও জানিয়ে দেন,তৃণমূল ওভাবে জোর করে কাউকে নিজের দলে টানে না। ‘আস্থা’ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বিনোদ মুর্মু জানান,তাঁরা তাঁদের প্রতিনিধিদের উপর যথেষ্ট ভরসা রাখেন। তৃণমূলে যে কেউ যোগ দেবেন না,সেটাও জানেন। তবুও তাঁদের এ পথ বাছতে হয়েছে। একথার সঙ্গে জুড়ে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে বলেন,”সাহস থাকলো ওরা পঞ্চায়েত সমিতি গঠন করার দিন ঘোষণা করুক। তাহলেই দেখতে পাবে কী হয়।” আপনার মতামত জানান -