গৃহপরিচারিকাদের সংগঠনের জোরালো দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার – চাপে সাধারণ মধ্যবিত্ত রাজ্য September 12, 2018 তাঁরা নিজেদের দু মুঠো খাবারের যোগান করতে অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়ে অনেক কম মাইনেতে কাজ করতে হয় তাঁদের। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? তাই এবার মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজকে আরও চওড়া করে এবার পথে নামছে “পশ্চিমবাংলা গৃহপরিচারিকা কল্যান সমিতি।” মূলত আসন্ন দুর্গাপূজোকে সামনে রেখেই তাঁরা পথে নামতে চলেছে। নিজেদের দাবিকে জনসমক্ষে পেশ করতে কলকাতা, হুগলী, হাওড়া, বীরভূম পশ্চিম মেদিনীপুরের মত জেলাগুলিতে লাগানো হচ্ছে পোষ্টারও। কিন্তু কি লেখা আছে সেই পোষ্টারে? দেখা গেছে, জেলায় জেলায় লাগানো এই পোষ্টারে মূলত দুটি দাবি তুলে ধরেছেন এই গৃহপরিচারিকা সংগঠনের সদস্যরা। প্রথমত, বিনা নোটিশে কাউকে কাজ থেকে বাদ দেওয়া যাবে না এবং দ্বিতীয়ত, যদিও বা পুজোর আগে কেউ কাউকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেন তাহলে তাঁকে পুজোর বোনাস সহ যথোপযুক্ত বেতন দিতে হবে। আর এই পোষ্টারেই রীতিমত শরীর থেকে ঘাম পড়তে শুরতে করেছে মধ্যবিত্তের। তবে শুধু পোষ্টারেই নয়, সংগঠনের সদস্যরা সরব হয়েছে সোশাল মিডিয়াতেও। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে যেখানে অনেকেই লিখছেন, “সামান্য মাইনের এই কাজে বোনাস দেওয়ার থেকে অনেকেরই সমস্যা বোনাস চাওয়ার অধিকার মেনে নেওয়াটাকে।” এদিকে গৃহপরিচারিকাদের এই দাবি প্রসঙ্গে এদিন পশ্চিমবাংলা গৃহপরিচারিকা কল্যান সমিতির অন্যতম সংগঠক শ্রীরুপা মান্না বলেন, “নূন্যতম মজুরির জন্য সরকারের কাছেও দাবি পেশ করা হয়েছে। যেখানে 8 ঘন্টা শ্রমে 12-13 হাজার টাকা মাসিক মাইনের কথা বলা হয়েছে। যদি এই দাবি মানা না হয় তবে একটি বাড়িতে একজন পরিচারিকা যতক্ষন থাকবে তাঁকে সেই হিসেবেই মাইনে দিতে হবে।” সব মিলিয়ে এবার গৃহপরিচারিদের সংগঠনের দাবিতে নাকাল হওয়ার আশঙ্কায় মধ্যবিত্ত। আপনার মতামত জানান -