শাসক দলে কোন গোষ্ঠীর দিকে ‘জনসমর্থন’ প্রমাণে প্রবল দড়ি টানাটানি জগদ্ধাত্রী পুজোতেও রাজ্য হাওড়া-হুগলি October 29, 2018 দুর্গাপুজোয় শহর কলকাতায় সুরুচির সংঘের সঙ্গে চেতলা অগ্রণীর প্রায় মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায়। একটির উদ্যোক্তা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আর অপরটির উদ্যোক্তা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দুজনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়নমনি। একে অপরের পুজো নিয়ে এই জোর টক্করে শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয় স্বয়ং দলনেত্রীকেও। সারা বছর মিল থাকলেও পুজোর সময় অমিল নিয়ে এবার দুজনেই দুষ্টু মিষ্টি বকা খেয়েছে নেত্রীর কাছে। কিন্তু নেত্রীর এই বারণ অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিমরা শুনলেও দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার চন্দ্রকোনায় এবার জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে সেই নেতায় নেতায় লেগেছে তীব্র ঠোকাঠুকি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এইই চন্দ্রকোনায় একদিকে শাসকদলের ব্লক সভাপতি অমিতাভ কুশারী, অন্যদিকে বিধায়ক ছায়া দোলই এবং অপরদিকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষের দ্বন্দ্ব সকলেরই জানা। আবার অপর প্রান্তে এই চন্দ্রকোনা পুরসভার চেয়ারম্যান অরূপ ধারা এবং প্রদীপ সাঁতরা। জানা গেছে জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করেও এই অঞ্চলে নেতায় নেতায় লড়াই বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। যেখানে একদিকে রয়েছেন চন্দ্রকোনা পুরসভার চেয়ারম্যান অরুপ ধারা আর অন্যদিকে চন্দ্রকোনা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ। মন্ডপ, আলো, মেলা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান একে অপরকে টেক্কা দিতে ছাড়ছেন না কেউই। এদিকে পুজোর এই যুদ্ধে ব্লক সভাপতি অমিতাভ কুশারী না থাকলেও হীরালাল ঘোষকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে স্থানীয় “বিধায়ক” ঘনিষ্ঠ সৌগত দণ্ডপাট। সেরার সেরা পুজো হিসেবে চমক দেবে তাদের পুজোয়। এই নিয়ে আত্মবিশ্বাসী শাসকদলের দুই নেতাই। এদিন এই প্রসঙ্গে অরূপ ধারা বলেন, “সাধারণ মানুষ সুরের হাটের সাথেই ছিলেন এবং থাকবেন।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে অন্যদিকে জিরাট হাইস্কুল মাঠের পুজোর উদ্যোক্তা হীরালাল ঘোষ বলেন, “আমাদের পুজো সার্বজনীন। তাই এখানেই সকলে আসবেন।” তবে কে হবে সেরার সেরা? এদিন এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই বলেন, “দর্শকদের ভিড়ই বলে দেবে পাল্লা আদতে কোন দিকে ভারী।” তবে সামনে পরীক্ষা থাকায় তাদের কথাটা চিন্তা করার জন্য পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে আবেদন করেছেন স্থানীয় মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের পড়ুয়ারা। সব মিলিয়ে এখন চন্দ্রকোনায় জগদ্ধাত্রী পুজোতেও জনসমাগম টানতে চরমে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল। আপনার মতামত জানান -