ডিসেম্বরের মধ্যেই কি সমগ্র জলপাইগুড়িবাসীর জন্য বড় সুখবর ঘোষণা করবে রাজ্য সরকার? রাজ্য November 22, 2018 এবার জলপাইগুড়ি জেলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই নির্মল ঘোষণা করার লক্ষ্যমাত্রা নিল প্রশাসন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই জেলায় 70 হাজার পরিবারের শৌচাগারই তৈরি হয়নি। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেই শৌচাগার তৈরি করে আদৌ সেই ঘোষণা করতে পারবে কিনা প্রশাসন তা নিয়ে প্রবল জল্পনা তৈরি হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলার 80 টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় 2 লক্ষ 16 হাজার 881 টি পরিবারের মধ্যে এই শৌচাগারের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে প্রায় 1 লক্ষ 39 হাজার 332 টি পরিবারকে। বর্তমানে এই জেলায় 96 টি মার্ট শৌচাগার তৈরির কাজ চলছে। আবারও সরকারের পক্ষ থেকে অনেকেরই শৌচাগার তৈরি করে দেওয়ারও কাজ শুরু হয়েছে। ফলে অনেকেই খোলা জায়গায় নিজেদের শৌচকর্ম ছাড়ছেন। আর যার জেরে প্রবলভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। যেমন, জলপাইগুড়ি শহরের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের 600 জনের মত বাসিন্দা আজও প্রকাশ্যেই নিজেদের শৌচকর্ম করেন। কেন এখনো পর্যন্ত এই সমস্ত বাসিন্দাদের শৌচালয় তৈরিতে উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন? এদিন এই প্রসঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের সুভাষ চন্দ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এখানে বামেরা ক্ষমতায় ছিল। এবার আমরা ক্ষমতা পেয়েছি। সমস্ত বাড়ি শৌচাগারের আওতায় আনতে গ্রাম পঞ্চায়েত ইতিমধ্যেই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।” এদিকে ডিসেম্বরের মধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নির্মল ঘোষণার লক্ষ্যমাত্রা প্রসঙ্গে এদিন জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক তথা জেলা পরিষদের অতিরিক্ত নির্বাহী আধিকারিক অভিজিৎ মৈত্র বলেন, “80 টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে সাতটি পঞ্চায়েত ইতিমধ্যেই নির্মল হিসেবে গঠিত হয়েছে। বাকি 32 টি পঞ্চায়েতকেও নির্মল হিসাবে দাবি করা হয়েছে। প্রশাসন সেটা খতিয়ে দেখবে।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে তবে 41 টা গ্রাম পঞ্চায়েতে এখনও 70 হাজার শৌচাগার তৈরি না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই। তবে এই শৌচালয়ের কাজ সম্পন্ন না হওয়ার কারণ হিসেবে জেলা প্রশাসনের একাংশ মনে করছেন, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং বর্ষাকালের জন্যই এই কাজে হাত দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে শীতের মরশুম পড়তে না পড়তেই এখন সেই কাজে গতি বাড়বে। আপনার মতামত জানান -