গেরুয়া আসানসোল ঘাসফুলের হয়ে গেছে প্রমাণে কাল দলনেত্রীর সভায় লক্ষ লোকের সমাগম বর্ধমান রাজ্য November 29, 2018 সম্প্রতি একের পর এক নির্বাচনে গেরুয়া ঝড়ের দাপটে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে নুইয়ে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। একদিকে নির্বাচনে শাসকদলের খারাপ ফলাফল আর অন্যদিকে দলীয় কোন্দলে বিদ্ধ তৃণমূলের দিনকে দিন অস্বস্তি বেড়েই চলেছে এই আসানসোলে। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার জামুড়িয়ার শ্রীপুরে একটি প্রশাসনিক জনসভা করতে আসছেন তৃনমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রশাসনিক সভা হলেও প্রিয় দিদির এই সভায় রেকর্ড সংখ্যক মানুষের ভিড় করতে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছেন জেলার ঘাসফুল শিবিরের নেতারা। সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার এই মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশ কমিশনার লক্ষীনারায়ন মিনা, ডিসি পুস্পা এবং জামুড়িয়ার বিডিও অনুপম চক্রবর্তী পরিদর্শন করলে সাথে সাথে সেই সভাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা তৃণমূলের নেতারাও। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি শিবদাসন দাসু, জামুড়িয়া তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সাধন রায়, জেলার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক প্রবোধ রায় সহ অনেকেই। জানা গেছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি ইতিমধ্যেই শাসক দল তৃণমূলের পক্ষ থেকেও গোটা এলাকা দলীয় পতাকায় ছেয়ে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি এই সভাকে সফল করতে ইতিমধ্যেই প্রতিটি ব্লকে জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে সভা ও প্রচার করে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের ভিড় যাতে সেখানে হয় সে জন্য সমস্ত ব্লক ও বুথ নেতৃত্বকে নির্দেশ দিচ্ছে জেলা নেতৃত্ব। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ যাতে সকলেই শুনতে পান তার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু দলীয় স্তরে তাদের প্রস্তুতি এখন ঠিক কোন পর্যায়ে? এদিন এই প্রসঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, “এটা প্রশাসনিক সভা। প্রশাসনই সবকিছু দেখছে। তবে এই মাঠে এক লক্ষ জনসমাগম করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ব্লকের নেতৃত্বই লোকজন নিয়ে আসবেন।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রশাসনিক সভা হলেও লোকসভা ভোটের আগে দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী জেলায় আসনে সেই দল এবং প্রশাসনের সর্বোচ্চ কান্ডারির কাছে জেলার সংগঠন যে তাদের পক্ষেই আছে তা প্রমাণ করতে মরিয়া পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে শেষ পর্যন্ত এটাতে কতটা সফল হয় তারা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -