রাজ্য সরকারের চাপ বাড়িয়ে এবার কাজে যোগ দিতে না পারা শিক্ষকরা আদালতের শরণাপন্ন কলকাতা রাজ্য February 1, 2019 এবার যেন এক নতুন অস্বস্তিতে পড়ল রাজ্য সরকার। নবম এবং দশম শ্রেণীতে শিক্ষক নিয়োগে যে সমস্ত প্রার্থীর শূন্য পদ নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল এবার তাদের সেই সমস্যা সমাধানের ব্যাপারটি অধরাই রইল। জানা গেছে, এতদিন আইনি জটিলতায় এই নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া থেমে থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকেই নবম-দশম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের নিয়োগপত্র ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আর এই নিয়োগপত্র দেওয়াকে ঘিরেই এখন প্রবল জটিলতা তৈরি হয়েছে। কেননা নিয়োগপত্র দেওয়া শুরু হলে আটকে থাকা 300 র মত প্রার্থী আরও অধৈর্য হয়ে পড়েছেন। আর তাই এবার তাঁরা মামলার পথে এগোবেন বলেও ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন। বিকাশ ভবনের তরফ জানা গেছে, এসএসসিতে ডিরেক্টরেট অফ স্কুল এডুকেশনের তরফে এই প্রার্থীদের জন্য শূন্যপদের তালিকা পাঠানো হলেও কিন্তু তাঁরা সেই তালিকা নিয়ে কোনোরূপ ঝুঁকি নিতে চায়নি। চূড়ান্ত তালিকার মধ্যেও যাতে কোনো ভুল না থাকে সেজন্য তারা সেই তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বিকাশ ভবনে। কেননা এই তালিকার মাধ্যমেই এদের কাছে পাঠিয়ে তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রয়োজনে নতুন শূন্যপদও তৈরি করা হতে পারে। আর তারপরেই 50 টি করে শূন্যপদ ছাড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে খবর। এদিন এই প্রসঙ্গে এক প্রার্থী বলেন, “আমি এক স্কুলে যোগ দিয়ে জানতে পারি যে, সেখানে কোন শূন্যপদই নেই। [content_block id=3910 আর আমার এক বন্ধু চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে দেখেন যে সেই স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শূন্যপদ রয়েছে।” অন্যদিকে কিছু কিছু প্রার্থী তপশিলি শ্রেণী ভুক্ত হয়ে চাকরি পেলেও স্কুলে গিয়ে দেখেন যে সেখানে অসংরক্ষিত শ্রেণীভূক্তর জন্য শূন্যপদ রয়েছে। ফলে তারা কেউই কাজে যোগ দিতে পারেননি। এমনকি এই ব্যাপারে বিকাশ ভবন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কিংবা এসএসসি দপ্তরে গেলেও সেখান থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি বলেই অভিযোগ। আর তাই এবারে দিনকে দিন তাদের এই চাকরিতে যোগদানের সময় পিছিয়ে যাওয়ায় এবং আর্থিকভাবে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার কথা ভাবছেন সেই চাকরি প্রার্থীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল বলেন, “বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীরা চক্কর কাটছেন। এতে মানসিক ভাবে যেমন তারা হয়রানি হচ্ছেন, ঠিক তেমনি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যে সমস্ত দপ্তরের হাতে এই বিষয়টি রয়েছে তাঁদের উচিত অগ্রাধিকার দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা।” আপনার মতামত জানান -