বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীদের নেতা বিজেপিতে যেতেই, উত্তরবঙ্গে শাসকদলে বড় ভাঙনের আশঙ্কা রাজ্য March 8, 2019 লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশের মুখে ফের উত্তরবঙ্গে জোড়াফুলের সংগঠনে ধ্বস নামার আশঙ্কায় মাথায় হাত পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। দিনহাটা এলাকায় এখনো বেশিরভাগ বিক্ষুব্ধ কর্মীসমর্থকদের দলে ফেরানো গেল না। তাঁদেরকে দলীয় কর্মসূচিতে কাজে লাগানো হয় না,এই অভিযোগেই দলের থেকে মুখ ফিরিয়ে রয়েছেন তাঁরা। এদিকে নির্দল দলের নেতা নিশীথ প্রামাণিক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাকে এখনো দলে ফেরানো সম্ভব হয়নি। এই পরিস্থিতিতে নির্দল সদস্যরা পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে আগামী ৯ মার্চ দিনহাটা নৃপেন্দ্রনারায়ণ স্মৃতি পাঠাগারে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই বৈঠকে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। বৈঠকের ফলাফল তিনিই জেলা সভাপতি এবং রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে দেবেন। এমনটাই জানা গিয়েছে দলীয় সূত্রের খবরে। গীতালদহ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দল প্রধান আবুয়াল আজাদ এ প্রসঙ্গে বলেছেন,তৃণমূলে ফেরার আবেদন করা হলেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এখনো সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পাত্তা না দিয়েই বিভিন্ন জায়গায় প্রচার কর্মসূচি চালাচ্ছে দল। লোকসভা ভোটের আগে নির্দলদের প্রতি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের এই ধরণের মানসিকতায় তাঁরা বেজায় অসন্তুষ্ট। তাই লোকসভা ভোটের মুখে এই অবস্থার পরিবর্তন করতে নৃপেন্দ্রনারায়ণ স্মৃতি পাঠাগারে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গোটা বিষয়টা বিধায়ক উদয়ন বাবুকে জানানোর কথা ভেবেছে নির্দলরা। এদিকে উদয়নবাবুও নির্দলদের অভিযোগ শোনার তাগিদেই বৈঠকে উপস্থিত থাকার আবেদনে সাড়া দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য,’তাঁরা জনপ্রতিনিধি, তাঁদের সঙ্গে অনেক মানুষ আছে। লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে জেতাতে তাঁদের নিজেদের এলাকায় জোর প্রচার করতে বলব। বৈঠকে উঠে আসা বার্তা দলের জেলা সভাপতি, রাজ্য নেতৃত্ব সহ যেখানে জানানো প্রয়োজন সবাইকে জানাব।’ আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই যুব-মাদার গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দিনহাটায়। এমনকী পরিস্থিতি একসময় এতোটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এক তৃণমূল কর্মীরও মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত হন দলীয় আরো বেশ কিছু সদস্যরা। ভোটের সময় দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে যুব সমর্থকরা সেসময়ের যুব তৃণমূল নেতা নিশীথ প্রামাণিকের নেতৃত্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এদিকে,গীতালদহ-১, ২, বড় শৌলমারি, পুঁটিমারি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত নির্দলদের দখলে আসে। এছাড়া পঞ্চায়েত সমিতির বেশ কিছু আসন এবং জেলা পরিষদের একটি আসনে জয়লাভ করে নির্দল প্রার্থীরা। এই ক্ষমতা দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে যুব-মাদার সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিনহাটা। পরিস্থিতি এতোটাই প্রতিকূল ছিল যে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁসিয়ারীতেও কোনো কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত এর জেরে নিশীথ বাবুকে দল থেকে ছাটাই করে দেওয়া হয়। কোচবিহারে সভা করতে এসে তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিশীথবাবুর নাম না করেই হুঁসিয়ারী দেন। এরপরই বিক্ষুব্ধ নির্দলদের দলে ফেরানোর আবেদনের ঝড় উঠতে থাকে। এদিকে লোকসভা ভোট গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে এলেও এখনো সিংহভাগ বিক্ষুব্ধ নেতাদের দলে ফেরানো সম্ভব হয়নি। ওদিকে নিশীথ বাবু আবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এই টালমাটাল পরিস্থিতি কীভাবে ভবিষ্যতে কর্মসূচি কী হবে তা ঠিক করতেই আগামী ৯ মার্চ বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্দলরা। এই বৈঠকে বিক্ষুব্ধদের সমস্যা সমাধান হবে বলেই আশা রয়েছে নির্দলদের। আপনার মতামত জানান -