এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > তৃণমূলের উপর অভিমানের সুযোগ নিয়ে সংখ্যালঘু প্রধান মুর্শিদাবাদেও বিজেপি যাত্রা শুরু, চাপ বাড়ল শাসকদলের

তৃণমূলের উপর অভিমানের সুযোগ নিয়ে সংখ্যালঘু প্রধান মুর্শিদাবাদেও বিজেপি যাত্রা শুরু, চাপ বাড়ল শাসকদলের


এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল খুব একটা ভালো ফল না করলেও সংখ্যালঘুদের সমর্থন তাদের দিকেই থেকেছে। ফলে সেদিক থেকে সংখ্যালঘুদের এই শক্ত ভোটব্যাঙ্ক তাদের সমর্থনে আসায় কিছুটা নিশ্চিন্ত থাকতে দেখা গেছে শাসক দলকে। কিন্তু এবার সংখ্যালঘু প্রধান এলাকা বলে পরিচিত মুর্শিদাবাদে বিজেপি থাবা বসাতে শুরু করল।

বস্তুত, নবাবের জেলা বলে পরিচিত এই মুর্শিদাবাদে তেমন ভাবে নিজেদের সংগঠন শক্তিশালী করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পরই পরিস্থিতি এবার বদলাতে শুরু করেছে। তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বামেদের দিকে থাকা ব্যক্তিরা অপমানের অভিযোগ তুলে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন। যা নিঃসন্দেহে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে তৃণমূলের।

জানা গেছে, বিগত কয়েকদিনে মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার খড়গ্রাম, বড়ঞা থেকে প্রচুর তৃনমূল কর্মী বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। দলবদলকারী অনেকেই বলছেন, “গায়ে অনেক কালি লেগেছে। আর এই দলে থাকা যায় না।” অনেকে আবার সম্মান- অসম্মানের প্রশ্ন তুলে দলবদল করেছেন বলে দাবি করেছেন। কিন্তু কোনোভাবেই কি এই দলবদল আটকাতে যাচ্ছে না! তাহলে কি সংখ্যালঘু প্রধান এলাকাও তৃণমূলের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃঞমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা খড়গ্রাম ব্লকের তৃণমূল নেতা আবুল কাশেম বলেন, “বিভিন্ন সময় বৈঠক করেছি। অনুগামীরা জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল থেকে কোনো সম্মান পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সকলেই বিজেপিতে যাবে বলে ঠিক করেছে।”

অন্যদিকে তৃণমূল ছেড়ে আরও অনেকে বিজেপিতে আসবে বলে জল্পনা বাড়িয়ে দিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, “দলে যোগ দিতে চেয়ে কয়েকশো ফোন পাচ্ছি। কিন্তু যাদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে, কিংবা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে আমরা তাদেরই দলে নিচ্ছি।”

তবে দলবদলের এই পর্বকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ আবু তাহের খান। এদিন তিনি বলেন, “যারা দলে থাকার পরও দলের পক্ষ থেকে যোগ্য সম্মান পাননি বলে মনে করছেন। তারা আসলে আখের গোছানোর জন্যই বিজেপিতে যাচ্ছেন।”

তবে তৃণমূল নেতৃত্ব যাই বলুক না কেন, সংখ্যালঘু এলাকায় মুর্শিদাবাদে যেভাবে বিজেপি ছাপ ফেলতে শুরু করেছে, তাতে তৃনমূলের যে ঘুম ওড়ার জোগাড়, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!