অর্জুন-গড়ে ঝামেলার সব দায় বিজেপি সাংসদের ঘাড়েই তুলে দিল পুলিশ! কলকাতা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য September 3, 2019 লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই ভাটপাড়ায় রাজনৈতিক সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়। তৃণমূল ছেড়ে লোকসভায় বিজেপির টিকিটে দাঁড়ানো এবং সাংসদ হওয়া অর্জুন সিং বনাম তৃণমূলের লড়াই যেন অন্য আকার ধারণ করেছিল। সম্প্রতি সেই গন্ডগোল রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে। যার ফলে মাথা ফেটে যায় ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের। বিজেপির অভিযোগ, এই গোটা ঘটনায় পুলিশ অশান্তি সৃষ্টি করেছে। তবে শ্যামনগর থেকে শুরু করে ভাটপাড়া, জগদ্দল ও তত্সংলগ্ন এলাকায় রবিবার যে উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে, তার সম্পূর্ণ দায় বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ঘাড়েই চাপাচ্ছে পুলিশ। সূত্রের খবর, সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিং বলেন, “অর্জুন সিংহের ছেলে পবন সিংহের নেতৃত্বেই গন্ডগোল হয়েছে। বারাকপুর ও তত্সংলগ্ন এলাকায় কোনও ধরনের অশান্তি বরদাস্ত করবে না পুলিশ। যারা আগামিদিনে ওই এলাকাকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করবে অথবা যারা রবিবার উত্তেজনা তৈরি করেছে, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। যথাযথ শাস্তি পাবে দোষীরা।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে রবিবারের ঘটনার পর পুলিশ-প্রশাসন ও বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন একাংশ। যেখানে এক ভিডিওতে সেই পুলিশ অফিসারকে প্রকাশ্যে শূন্যে গুলি চালাতে এবং লাঠি চার্জ করতেও দেখা যায়। যার পরেই এর সমালোচনায় সরব হয় বিজেপি। লাঠি চার্জ করে মনোজ ভার্মা অর্জুন সিংকে খুন করতে চেয়েছে বলেও অভিযোগ করতে দেখা যায় গেরুয়া শিবিরকে। কিন্তু এদিন বিজেপির সেই সমস্ত অভিযোগকে নস্যাৎ করে দেন জ্ঞানবন্ত সিং। তিনি বলেন, “অত্যন্ত সফল্যের সঙ্গে রবিবার পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন মনোজ ভার্মা। পরিকল্পিত ভাবে দুষ্কৃতীরা এলাকাকে উত্তপ্ত করে তুলেছিল। যার নেতৃত্ব ছিলেন অর্জুন সিং। তার নেতৃত্বেই পুলিশের দিকে ইট বৃষ্টি করছিল ক্ষুব্ধ জনতা। মারমুখী সেই জনতাকে ভয় দেখাতেই শূন্যে গুলি ছোঁড়েন মনোজ ভার্মা।” শুধু তাই নয়, যে মনোজ ভার্মাকে শূন্যে গুলি এবং লাঠিচার্জ করতে দেখা গেছে, তার কাজের প্রশংসাও করেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা)। তিনি বলেন, “মাথা ঠাণ্ডা করে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার। পুলিশ একটু বেসামাল হলেই, পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারত।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রবিবার এই গন্ডগোলের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়ে যখন বিজেপি আন্দোলনে নামছে, ঠিক তখনই নিজেদের গা থেকে সমস্ত অভিযোগ ঘিরে ফেলতেই রাজ্য পুলিশের এডিজি আইন-শৃংখলার এই বিবৃতি বলে মত সমালোচক মহলের। কিন্তু এতসব করেও শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -