আচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখি বুরে দিন উপহার! মোদি জমানায় রেকর্ড পতন দেশের আর্থিক বৃদ্ধির! জাতীয় November 30, 2019July 18, 2021 ভারতবর্ষের নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল ভারতবর্ষের অর্থনীতিকে 5 লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতি তৈরি করা। কিন্তু দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতবর্ষ জুড়ে যে পরিমান অর্থনৈতিক মন্দা চলছে, তাতে করে 5 লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতি তো দূরের কথা, বর্তমান অর্থনীতিও অনেক বেহাল দশাতে পৌঁছে যাচ্ছে বলে মনে করছে অর্থনীতিবিদরা। জানা যাচ্ছে, প্রথম ত্রৈমাসিকে 6 বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন যে 5 শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধির ছবি দেখেছিল ভারতবাসী অর্থনীতিবিদদের মধ্যে, সেই সময় আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, পরবর্তী ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি আরও পতনের মুখে পড়বে। দেশের অর্থনীতিবিদদের সেই আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত হয়। এবার জিডিপি বৃদ্ধির হার নামল 4.5 শতাংশে। শুক্রবার প্রকাশিত হওয়া দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক জিডিপিতে এই ছবি সামনে উঠে এসেছে। বিগত দেড় বছরের মধ্যে যেভাবে টানা অর্থনীতিক পতনের মুখ দেখছে ভারতবাসী, তাতে করে অধিকাংশ আর্থিক বিশেষজ্ঞরাই মনে করছেন, নরেন্দ্র মোদির 5 লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতির স্বপ্ন প্রায় চুরমার হতে বসেছে। ইতিপূর্বেই ডঃ মনমোহন সিং সরকারের সময় যখন 2012-13 অর্থবর্ষে ত্রৈমাসিক বৃদ্ধির হার 4.3 দাঁড়িয়েছিল, সেই সময় বিরোধীদের তরফ থেকে অর্থনীতিবীদ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে রীতিমতো কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে 2012-13 সালের পর থেকে কখনই দেশের অর্থনীতি জিডিপির হার 5 শতাংশের নিচে নামেনি। মনে করা হচ্ছে, সেই দিক থেকে এই পতন রীতিমত নজির সৃষ্টি করেছে। বস্তুত, আগের বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার 7 শতাংশ ছিল। এই বছরের জুন মাস আসতে আসতে যা 5 শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, সমগ্র বিশ্বে বর্তমানে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। পাশাপাশি দেশের বাজারের ক্ষেত্রে নতুন শিল্পের বিনিয়োগের রীতিমতো অভাব সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি সবথেকে খারাপ পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই অনেকগুলি সরকারি সংস্থাকে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আর এইসব ঘটনার তীব্র প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে। সেই কারণেই এরকম অবস্থা চলছে বলে মত অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তবে ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ অবশ্য মনে করছেন, সারা বিশ্বে যে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে, এটা তার প্রভাব মাত্র। এই বিষয়ে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি ভারতের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। বাজারকে চাঙ্গা করতে ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের তরফ থেকে কর্পোরেট করে ছাড় দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকিং এবং টেলিকম সংযুক্তিকরণ করা হচ্ছে। কিন্তু নির্মলা সীতারামন এই যুক্তি দিলেও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক জিডিপির হার এত নিম্নমুখী হওয়াতে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা দানা বাঁধতে শুরু করেছে ভারতের অর্থনীতির বাজারে। এখন পরবর্তীতে দেশের অর্থনীতি প্রকৃত অর্থে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, নাকি আরও পতনের মুখ দেখতে হয় ভারতের অর্থনীতিকে! সেদিকে অবশ্যই নজর থাকবে বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -