হার জেনেও মুখ্যমন্ত্রী ৪০ হাজার কোটি টাকার জন্য! মহারাষ্ট্রের রহস্য ফাঁস করলেন বিজেপি সাংসদ জাতীয় December 3, 2019 মহারাষ্ট্রে রাতারাতি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদল সংবাদ শিরোনামে এসেছে। এক রাতের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার পরিবর্তন হয়ে যায় মহারাষ্ট্রে। বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মাত্র 80 ঘন্টার জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হন। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক নাটকীয়তার সাক্ষী হয়েছে ইতিমধ্যে গোটা দেশ। যেকোনো ভালো থ্রিলার মুভিকে হার মানাবে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পটভূমিকা বদল। প্রবল রাজনৈতিক টানাপোড়েনের পর এনসিপির অজিত পাওয়ারকে সাথে নিয়ে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও অজিত পাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী ও উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন। যদিও এই শপথ গ্রহণের কিছু সময় পরেই আবারও দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে পদত্যাগ করতে হয়। এবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বদল নিয়ে মুখ খুললেন আরেক বিজেপি সাংসদ। এদিন বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত হেগড়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বদল নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চূড়ান্ত সমালোচনা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত হেগড়ে এদিন জানান, মহারাষ্ট্র পর্বটির গোটাটাই ছিল আগাগোড়া একটি পরিকল্পনামাফিক নাটক। বিজেপির অন্দরেই দলীয় সাংসদের এহেন মন্তব্যের ফলে চূড়ান্ত অস্বস্তি শুরু হয়েছে। গত 29 নভেম্বর সিরসি তালুকের বাঁকানালায় একটি সভা থেকে বিজেপি সাংসদ অনন্ত হেগড়ে এই তথ্য ফাঁস করেন। ওই সভায় হেগড়ে বলেন, ‘আপনারা জানেন, মাত্র 80 ঘন্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ফড়নবিশ। তারপর ইস্তফা দিয়ে দেন। কিসের জন্য এই নাটক? জানতে পেরেছিলাম কি আমরা? সংখ্যাগরিষ্ঠ না থাকা সত্ত্বেও কেন মুখ্যমন্ত্রী হলেন ফড়নবিশ?’ আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এরপরেই হেগড়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ফড়নবিশ আসলে 80 ঘন্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কেন্দ্রীয় অনুদানকে ফেরত পাঠানোর জন্য এই নাটক করেন। কারণ তাঁর আশঙ্কা ছিল এই তহবিল বিরোধী দলের হাতে পড়লে তার অপপ্রয়োগ হতে পারে। এই প্রসঙ্গে হেগড়ে মন্তব্য করেন, ‘কোনওভাবেই যাতে ওই তহবিল নতুন সরকারের হাতে না আসে সেজন্য বড় নাটক করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। আর সে কারণেই একটু আপসের রাস্তায় যেতে হয় দলকে।’ অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ হেগড়ের বক্তব্যকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আমার সম্পর্কে যা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মহারাষ্ট্র সরকার কখনোই কেন্দ্রের কাছে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য টাকা চায়নি।’ অনন্ত হেগড়ের মন্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যে বিজেপির অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি হেগড়ের মন্তব্যের বিরোধিতা করে। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র নিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের সম্ভবত এই প্রথম একটি রাজ্য সরকার বানানোর ক্ষেত্রে এ ধরনের অভ্যুত্থান হয়েছে। মহারাষ্ট্রের টানটান কুরসির লড়াই অবশ্য শেষ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। অন্যদিকে, হেগড়ের দাবি মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন কোন আলোড়ন শুরু করে কিনা, সে দিকে নজর রাখবে তামাম রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -