এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদের উপর হামলা, পুলিশ সুপারের অফিসে বসে ধরনা সুকান্তর!

হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদের উপর হামলা, পুলিশ সুপারের অফিসে বসে ধরনা সুকান্তর!

 

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রত্যন্ত শান্তিপ্রিয় জেলা বলেই পরিচিত কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই সেই জেলায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে গত লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করেছিলেন বিজেপির সুকান্ত মজুমদার। বহিরাগত তকমা পাওয়া তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষ পরাজিত হয়েছিলেন। তবে তারপর জেলা সংগঠনের দেখভাল করতে সেই অর্পিতা ঘোষের উপরেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু সুকান্ত মজুমদারকে জয়যুক্ত করিয়ে বালুরঘাটের মানুষ সুকান্তবাবুকে বালুরঘাটের ছেলে হিসেবে ধরে নিয়েছিল। কিন্তু এবার নিজের দলের কর্মসূচি করতে গিয়ে হামলার শিকার হতে হল বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে রীতিমত অভিনব কায়দায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাতভর জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে সিঁড়িতে বসে ধরনা দিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সহ দলের নেতা-কর্মীরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলে বিজেপির অভিনন্দন যাত্রার কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমারগঞ্জের ডাঙ্গারহাট এলাকায় একটি স্ট্রিট কর্নারের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত হন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি নেতা জিল্লুর রহমান, কৃষ্ণ কুজুর সহ অন্যান্যরা। অভিযোগ, সেখানেই দুষ্কৃতীদের হামলায় আক্রান্ত হন বিজেপির প্রায় 9 জন নেতা-কর্মী। পরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

কিন্তু কেন এভাবে তাদের দলের কর্মসূচিতে হামলা চালানো হল! তা নিয়ে তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বালুরঘাটে ফিরেই জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তরে ঢুকে পড়েন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তবে জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তরে ঢুকতে গেলেই বিজেপি সাংসদকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

পরবর্তীতে ভেতরে ঢুকতে না পেরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি বিনয় বর্মন, বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি নেতা নীলাঞ্জন রায়, সুমন বর্মন সহ অন্যান্যরা সিঁড়িতে বসে ধরনা দিতে থাকেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, দোষীদের গ্রেপ্তার করা না পর্যন্ত তারা তাদের ধরনা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়ে দেন সুকান্ত মজুমদার। আর শান্ত জেলা হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ দিনাজপুরে এহেন রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায় এখন তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু কারা তাদের উপর এই হামলা চালালো!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

এদিন এই প্রসঙ্গে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কুমারগঞ্জের ডাঙ্গারহাট এলাকায় প্রচুর মানুষ আমাদের সমর্থনে এসেছিলেন। সেখানেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। চেয়ার-টেবিল তুলে আমাদের উপর চড়াও হয়েছে। আমি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। কিন্তু বেশ কয়েকজন জেলা নেতা আক্রান্ত হয়েছেন। পুরো ঘটনা মোবাইলে রেকর্ড করে জেলা পুলিশ সুপারকে দেখানো হয়েছে। কিন্তু তারপরেও পুলিশ সুপার সেই অপরাধীদের ধরতে স্বক্রিয়তা দেখাননি। চিহ্নিত অপরাধী গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ধরনা চলবে।”

কিন্তু সত্যিই কি এই ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেস দায়ী? কি বলছেন অর্পিতা ঘোষ! এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ বলেন, “এই হামলায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। বিজেপির এটা দলীয় বিবাদ। বিজেপির আরেকপক্ষ সাংসদকে তাড়া করছে। আসলে ওরা এনআরসি নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে। তাই প্রচারে আসার পাশাপাশি মানুষের সমর্থন পেতে এই ধরনের মিথ্যা পন্থা অবলম্বন করছে।”

কিন্তু অর্পিতা দেবী যে কথাই বলুন না কেন, বালুরঘাটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উপর এই ধরনের ঘটনা সত্যিই বেমানান বলেই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। অতীতে এই ধরনের ঘটনা আদৌ হয়েছে কিনা, তা মনে করতে পারছেন না বালুরঘাটবাসী। বিজেপি সাংসদৈর উপর আক্রমণের ঘটনায় তৃণমূল অভিযুক্ত হল এবং যেভাবে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পুলিশ সুপারের অফিসের ধরনা দিলেন সুকান্তবাবু, তাতে বিজেপি এই ঘটনায় শাসকদলকে অনেকটাই চাপে ফেলে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!