জমজমাট একুশের লড়াই! তৃণমূলে বড়সড় ভাঙন ধরল উত্তরবঙ্গে, ক্রমশ জমি গোছাচ্ছে গেরুয়া শিবির উত্তরবঙ্গ তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য June 29, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আবারো বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য ঘাসফুল শিবির। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে একের পর এক ঘাসফুলের সংগঠন ভেঙ্গে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এবং এই ভাঙ্গনের মূলে রয়েছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, ঘাসফুল শিবিরে আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠল গেরুয়া সংগঠনের জোর। এই মুহূর্তে বাংলায় 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নিজেদের শিবিরকে আরো সাজিয়ে গুছিয়ে নিতে প্রস্তুত বাংলা রাজনৈতিক দলগুলি। অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই উত্তরবঙ্গ হাতছাড়া তৃণমূল শিবিরের। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গের ঘাসফুল দুর্গে আবার আঘাত হেনে গেরুয়া শিবির তাঁদের ভিত নাড়িয়ে দিলো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এই মুহূর্তে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকেই পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির। আর সেই লক্ষ্যে ক্রমাগত নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে চলেছে তাঁরা। নিজেদের সংগঠন আরো শক্তিশালী করে তুলতে প্রস্তুত হচ্ছে রাজ্য বিজেপি শিবির। সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের ভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন টুঙ্গইল বিলপাড়া গ্রামে ঘাসফুল শিবির থেকে গেরুয়া শিবিরে ব্যাপক প্রত্যাবর্তন হয়েছে বলে জানা গেছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় রীতিমতো খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরে। সূত্রের খবর, দলবদলকারীদের হাতে বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানান। এছাড়া এই দলবদল কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির স্থানীয় নেতারা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যেমন – ভান্ডার পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান কৃষ্ণ বর্মন, বিজেপির কালিয়াগঞ্জ শহর মন্ডল সভাপতি তপন সিংহ, জেলা নেতা গৌতম বিশ্বাস, জগন্নাথ ভট্টাচার্য, মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী দোলা মোদক প্রমুখরা। অন্যদিকে এই দলবদল প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুরের বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিত লাহিড়ী দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বর্তমান পরিস্থিতিতে যেভাবে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন এবং দেশের উন্নয়নকে যেভাবে সর্বাগ্রে সামনে আনছেন, তাতে উদ্বুদ্ধ হয়েই মানুষ বিজেপিতে যোগদান করছে স্বতঃস্ফুর্তভাবে। অন্যদিকে এই দলবদল সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত শাসক শিবিরের পক্ষ থেকে কারোর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে। তবে পুরো ব্যাপারটির পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, একের পর এক জেলা থেকে যেভাবে তৃণমূল সংগঠনকে ভাঙা হচ্ছে, তাতে কিন্তু ক্রমশ তৃণমূলের সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকাশ্যে আসছে। আগামী দিনের বাংলার মসনদ নিজেদের দখলে যদি রাখতে হয় সবুজ শিবিরকে, তাহলে অবশ্যই নিজেদের সাংগঠনিক জোর বাড়ানোর দিকে আরো কড়া নজর দিতে হবে তাদের। আপনার মতামত জানান -