এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > আবিষ্কৃত হয়ে গেল সঙ্কটজনক করোনা রুগীকে বাঁচানোর ওষুধ? WHO-এর বড় ঘোষণায় চাঞ্চল্য বিশ্বজুড়ে!

আবিষ্কৃত হয়ে গেল সঙ্কটজনক করোনা রুগীকে বাঁচানোর ওষুধ? WHO-এর বড় ঘোষণায় চাঞ্চল্য বিশ্বজুড়ে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  অবশেষে বিশ্ববাসী হয়ত কিছুটা শান্তি পেতে চলেছে। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সংকটজনক করোনা রোগীকে বাঁচানোর উপায় আবিষ্কার করা গেছে বলেই দাবি করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী স্টেরয়েড জাতীয় এই ওষুধ ব্যবহারের ফলে নাকি সংকটাপন্ন করোনা রোগীদেরও প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হবে। এতে নাকি করোনায় মৃত্যুর সম্ভাবনা ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে বলেই জানা গেছে। তবে এই অসাধ্য সাধন করল কে?

সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের এই ট্রায়ালে দেখা গেছে, ভেন্টিলেটর সাপোর্টে থাকা সংকটজনক করোনা রোগীদের উপর হাইড্রোকর্টিজোন, ডেক্সামেথাজোন এবং মিথাইলপ্রেডনিজোলোনের মতো কর্টিকোস্টেরয়েডের ব্যবহার সাফল্য এনেছে। কি এই ওষুধ গুলি?

হাইড্রোকার্টিজোন:- হাইড্রোকার্টিজোন ওষুধটি সাধারণত অ্যাড্রিনোকোর্টিকাল অপ্রতুলতা, অ্যাড্রিনোজেনিটাল সিনড্রোম, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েডাইটিস, রিউম্যাটয়েড আর্থাইটিস, ডার্মাটাইটিস, হাঁপানি এবং সিওপিডি এর মতো রোগের ক্ষেত্রে কাজে লাগে। তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অস্টিওপোরোসিস, পেটের সমস্যা , শারীরিক দুর্বলতা, মানসিক অস্থিরতা প্রভৃতি লক্ষ করা যায়। এটি ট্যাবলেট বা ইনজেকশনের মাধ্যমে রোগীকে দেওয়া হয়।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ডেক্সামেথেসোন:- ডেক্সামেথেসোন এক ধরণের কর্টিকোস্টেরয়েড ওষুধ। এটি সাধারণত ত্বকের রোগ, যেকোনো এলার্জি, হাঁপানি, ক্রনিক ফুসফুসের রোগ, বাতের সমস্যা প্রভৃতিতে কাজ করে। ডেক্সামেথাসোনের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং ইমিউনোসপ্রেসেন্ট প্রভাব রয়েছে। এছাড়া এর দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের ফলে ঘা, হাড়ের ক্ষয়, ছানি, পেশী দুর্বলতা প্রভৃতি দেখা দিতে পারে বলে জানা গেছে।

মিথাইলপ্রেডনিজোলন:- মিথাইলপ্রেডনিজোলন সাধারণত চর্মরোগ, বাত, অ্যালার্জি, হাঁপানি, সিওপিডি, কিছু ক্যান্সার, স্ক্লেরোসিস এবং যক্ষ্মা বা রেডিকুলোপ্যাথির অ্যাড-অন থেরাপির ক্ষেত্রে কাজে লাগে। তবে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি লক্ষ করা যায়। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের ফলে সাধারণ অস্টিওপোরোসিস, ছানি, শারীরিক দুর্বলতা প্রভৃতি লক্ষ করা যায়।

 

সম্প্রতি এই তিনটি ওষুধই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকাতে রয়েছে। তবে এদিক হু-এর তরফ থেকে বলা হয় যে, এই ওষুধ প্রয়োগের ফলে প্রতি ১০০০ জন সংকটাপন্ন করোনা রোগীর মধ্যে ৮৭ জনের প্রাণ বাঁচান গিয়েছে। সুতরাং ৬৮ শতাংশ কোভিড রোগী কর্টিকোস্টেরয়েডের থেরাপিতে সুস্থ হয়েছেন। ফলে সংকটজনক রোগীদের মধ্যে এই ওষুধের প্রয়োগ করা যেতেই পারে। আর তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই নতুন নির্দেশিকা করোনা চিকিৎসায় নতুন দিশা দিতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে যে স্টেরয়েডের কথা বলা হয়েছে, তা অত্যন্ত সস্তায় বাজারে পাওয়া যায়। ডেক্সামেথাজোন ভারতে মাত্র ২০ টাকাতেও কিনতে পাওয়া যায়। সুতরাং, এই ওষুধ যদি সত্যিই কার্যকরী হয়, তাহলে হয়তো অনেক কম খরচেই করোনা রোগীর প্রাণ বাঁচানো যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!