এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পরিষেবা নিয়ে নীচুতলার অভিযোগ পেতেই রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীকে ফোন করে জবাবদিধি দাবী অনুব্রতর

পরিষেবা নিয়ে নীচুতলার অভিযোগ পেতেই রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীকে ফোন করে জবাবদিধি দাবী অনুব্রতর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে নজর রেখে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল প্রতিটি জেলায় সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছে। তার সাথেই প্রত্যেকটি জেলার দলীয় সভাপতি ক্রমাগত দলীয় বৈঠক করে জেলার পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করে চলেছেন। বীরভূম জেলাতে তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কড়া নজর রেখে চলেছেন জেলার বিভিন্ন জায়গায়। বিভিন্ন সময় তাঁকে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে। সেই বৈঠকেই এবার তার সামনে এলো বিদ্যুৎ বিভ্রাট সংক্রান্ত একগুচ্ছ অভিযোগ।

বৃহস্পতিবার ময়ূরেশ্বর 1 নম্বর ব্লকের তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি বৈঠকে বসেন। আর সেখানেই এক অঞ্চল সভাপতি অভিযোগ করেন বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে। আর তারপরই অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি এই অভিযোগ কানে তুলে দেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। সূত্রের খবর, ময়ূরেশ্বর 1 নম্বর ব্লকের তলোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি বদর আলী এদিন দলীয় বৈঠকে এলাকার বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে সরব হয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, বিরোধী শিবিরের পক্ষ থেকে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটকে হাতিয়ার করে সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে লোডশেডিংয়ের সরকার বলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই অভিযোগ পেয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তড়িঘড়ি বিদ্যুৎ মন্ত্রীকে ফোন করে জবাবদিহি চান এলাকার লোডশেডিং সম্পর্কে। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন এলাকার ডিভিশনাল ম্যানেজার অথবা অন্যান্যদের কর্মপদ্ধতি নিয়ে। পাশাপাশি এদিন অনুব্রত মণ্ডল সোজাসুজি রামপুরহাট ডিভিশনাল ম্যানেজারকে ফোন করে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে জানা গেছে। রামপুরহাট ডিভিশনাল ম্যানেজারকে বীরভূম জেলা সভাপতি বলেন, বোলপুর, সিউড়ি ডিভিশন এবং রাজ্যের অন্যান্য ডিভিশনে আগের মত বিদ্যুৎ বিভ্রাট যখন নেই, তখন ময়ূরেশ্বর এলাকায় হঠাৎ করে বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু হয়েছে কেন?

এলাকার বিদ্যুৎ বিভ্রাট পরিপ্রেক্ষিতে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূল শিবির বর্তমানে কোন রকম ফাঁক রাখতে চাইছেনা এলাকার উন্নয়নে। প্রতিটি এলাকায় সামান্যতম অভিযোগ পেলেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূল শিবিরের যেকোনো রকম দুর্বলতাকে কাজে লাগাচ্ছে বিরোধীরা। তাই কোনরকম দুর্বলতা যাতে প্রকাশ না পায়, সেদিকে সচেষ্ট হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!