এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লজ্জা! বেতন না দিতে শিক্ষিকাদের বাথরুমে গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল? ঝড় দেশজুড়ে

লজ্জা! বেতন না দিতে শিক্ষিকাদের বাথরুমে গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল? ঝড় দেশজুড়ে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অরাজনৈতিক কার্যকলাপের সূত্র ধরে এবছর প্রথম থেকেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে যোগী রাজ্য। অপরাধমূলক কাজ বন্ধ করতে যেখানে ইতিমধ্যেই শোনা গিয়েছিল আদিত্যনাথ যোগীকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, সেখানেই সম্প্রতি সামনে এসেছে শিক্ষকদের ব্যক্তিগত ছবি ফাঁস করা নিয়ে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ। সম্প্রতি খবরে উঠে এসেছে যোগীরাজ্যে নাকি শিক্ষকদের গোপন ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের দিয়ে বিনা বেতনে কাজ করিয়ে নিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনা চলছে অনলাইনে। এমন জায়গায় কিছু দিন আগে জানা গিয়েছিল বহু স্কুলে বেতন পাচ্ছেন না বহু শিক্ষক শিক্ষিকা। তার কারণ স্বরূপ বলা হয়েছিল, যেহেতু লকডাউনে কর্মসংস্থান হারিয়েছেন বহু মানুষ এবং সেজন্য অনেকেই স্কুলেই ফি দিতে অপারগ। অন্যদিকে যেহেতু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাইনের একটি বড় অংশ আসে শিক্ষার্থীদের মাইনের অংশ থেকে, তাই সেই মাইনে ঠিকঠাক ভাবে না আসায় শিক্ষিকাদের বেতন দিতে সমস্যা হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষগুলোর। এমন পরিস্থিতিতে তাই কোথাও অর্ধেক বেতনেই চালাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু সম্প্রতি যোগীরাজ্যের এহেন খবর বিতর্ক তৈরি করেছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে লকডাউনে কয়েক মাস ধরেই বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে স্কুলের শিক্ষকদের। আর বেতন চাইলেই তাদেরকে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে। নেপথ্যে তাদের অভিযোগ ওয়াশরুমে গোপন ভিডিও ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেই তাদের ব্যক্তিগত কিছু ছবি তুলে রেখেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আর তা দিয়েই তাদেরকে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মেরাঠের একটি স্কুলে। সেখানে লাগানো গোপন ক্যামেরায় ভিডিও এবং ছবি তুলে রাখার অভিযোগ এনেছেন সেই স্কুলের ৫২ জন শিক্ষক।

জানা গেছে, তাঁরা প্রত্যেকেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাদের অভিযোগ স্কুলের পরিচালন কমিটির সম্পাদক তাদের দিয়ে এমন কাজ করাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও পরবর্তীকালে পরিচালন কমিটির সম্পাদক করোনা মহামারীর কারণে যে তিনি এতদিন শিক্ষকদের বেতন দিতে পারছেন না সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন, তবে তাঁর সম্পর্কে ওঠা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলেই জানা গেছে। তাঁর মত, মহিলাদের বাথরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়নি, কিন্তু পুরুষদের ওয়াশরুমে রয়েছে। তার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, কিছুদিন থেকে এলাকার পুরুষদের শৌচালয়ে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। তাই তিনি শিক্ষকদের সুরক্ষার জন্য এমন ক্যামেরা লাগাতে বাধ্য হয়েছেন। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে এখনও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা না হলেও তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

* ছবিটি প্রতীকী

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!