এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > লক্ষীরতন শুক্লার সরে যাওয়ায় হাওড়ার তৃণমূল সংগঠন প্রশ্নের মুখে

লক্ষীরতন শুক্লার সরে যাওয়ায় হাওড়ার তৃণমূল সংগঠন প্রশ্নের মুখে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আবারো দল ভাঙার খবর। রাজ্যের শাসক দলের অন্দরে বড়োসড়ো ভাঙন একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই। আর কিছুদিনের মধ্যেই বাংলার মসন\দ দখলের প্রক্রিয়া শুরু। কিন্তু তার আগেই আরও একবার মমতার মন্ত্রিসভার আর এক সেনার অস্ত্র পতন। সম্প্রতি হাওড়া তৃণমূলের রদবদলের পর থেকেই শুরু হয়েছে গন্ডগোল। অরূপ রায়কে হাওড়া শহর সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে ক্রীড়াব্যক্তিত্ব লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি তৃণমূলের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরের অরূপ রায় এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপেক্ষাকৃত গুরুত্বহীন পদ দেওয়া হয়েছিল। তাই নিয়ে জল্পনাও প্রচুর হয়েছে।

একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস যখন নতুন করে হাওড়া জেলার সংগঠনটি শক্তপোক্তভাবে দাঁড় করানোর চেষ্টা হচ্ছিল। ঠিক সেই সময় থেকেই শুরু হয়েছে তৃণমূলের ভাঙন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগেই এবার হাওড়া জেলা শহর সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লা পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। লক্ষ্মীরতন শুক্লা মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিলেন পাশাপাশি তিনি হাওড়া জেলা শহর তৃণমূল এর সভাপতীত্ব থেকেও মুক্তি নিয়েছেন। হাওড়ার সভাপতির পদ থেকে লক্ষ্মীরতন শুক্লা ইস্তফা দেওয়ায় খুব স্বাভাবিকভাবেই হাওড়া জেলার তৃণমূল সংগঠনের বড় ক্ষতি হয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এখন হাওড়ার সংগঠনের দায়িত্ব কে নেবে তাই নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। অন্যদিকে লক্ষ্মীরতন শুক্লা পদত্যাগের পর থেকেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে শুরু হয়ে গেছে তীব্র কটাক্ষ। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত জল্পনাকে একপাশে সরিয়ে রেখে জানিয়ে দিলেন, লক্ষ্মীরতন শুক্লা শুধুমাত্র খেলাধুলার সাথে থাকবে বলেই রাজনীতি ছাড়তে চায়। নবান্নে সাংবাদিকদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা জানিয়েছেন এবং রাজ্যপালের কাছে তিনি লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদত্যাগপত্র মঞ্জুর করার আবেদন করবেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে প্রশ্ন উঠছে, হাওড়া জেলার সভাপতি পদে এবার কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে?

যে অরূপ রায় এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দূরে সরানো হয়েছিল, আবার কি নতুন করে হাওড়া জেলার সভাপতির পদ নিয়ে শুরু হবে দুই পক্ষের লড়াই? গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতেই লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে নিয়ে এসেছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী হাওড়া জেলার সহ-সভাপতির আসনে। মন্ত্রীত্ব এবং সভাপতিত্ব ছেড়ে দিয়ে লক্ষ্মীরতন শুক্লা কিন্তু এক পক্ষে তৃণমূলকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যথেষ্ট বিপাকে ফেললেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। মুখ্যমন্ত্রী মুখে যাই বলুক না কেন, তাঁকে কিন্তু হাওড়া জেলার তৃণমূল সংগঠন নিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!