এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু চলে যাওয়ার সাথে সাথেই ভাঙ্গন! শুভেন্দু ফ্যাক্টর হবে না, কোথায় গেল তৃণমূলের বার্তা!

শুভেন্দু চলে যাওয়ার সাথে সাথেই ভাঙ্গন! শুভেন্দু ফ্যাক্টর হবে না, কোথায় গেল তৃণমূলের বার্তা!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের যে অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন, তা স্বীকার করে নেন তৃণমূলের সকল স্তরের নেতাকর্মীরা। কিন্তু সেই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার সাথে সাথেই তাকে নেতা হিসেবে মানতে রাজি হয়নি তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। তৃনমূলে থাকার সময় একাধিক জেলায় যেখানে যেখানে ঘাসফুল শিবির খারাপ কল করেছিল, সেখানে মুশকিল আসান হিসেবে দেখা দিয়েছিলেন সেই শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের টানা থেকে শুরু করে সেখানে ভালো ফল করানোর মূল কৃতিত্ব ছিল তার। কিন্তু তিনি বিজেপিতে যোগদান করার সাথে সাথেই তাকে মীরজাফর বলে আক্রমণ করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

শুধু তাই নয়, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর তৃণমূলের অনেকে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রথম থেকে দাবি করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী তাদের কাছে কোন ফ্যাক্টর হবে না। এমনকি তার পথ ধরে কেউ বিজেপিতে নাম লেখাবেন না। কিন্তু খেলা যে ঘুরতে শুরু করেছে এবং তৃণমূলের এই দাবি যে খুব একটা সত্যি নয়, তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে বলেই মত বিশ্লেষকদের।

প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন জল্পনা চলছিল, তখন রাজ্যের আরেক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে জল্পনা বাড়তে শুরু করে। তবে শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করলেও রাজীববাবু বিজেপিতে নাম লেখানোর মত সিদ্ধান্ত নেননি। কিন্তু সাম্প্রতিককালে সেই রাজীববাবুর গলায় শোনা গিয়েছিল বিস্ফোরক সুর। যেখানে কর্মীদের পক্ষ অবলম্বন করে নেতাকর্মীদের ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। আর এরপরই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে নাম লেখাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এমনকি হাওড়া জেলার মন্ত্রী তথা জেলা সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লা নিজের পদ থেকে ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। যাকে নিয়ে জল্পনা আরও বাড়তে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে একাংশ বলছেন, এর পেছনে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই তৃণমূলের পক্ষ থেকে একসময় শুভেন্দু অধিকারীকে গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা না হলেও, শুভেন্দুবাবু যে ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে শুরু করেছে শাসকদলের কাছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলে যে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, তা শুভেন্দু অধিকারীর জন্যই বলে অভিযোগ করছে শাসক দলের একাংশ।

এমনকি আড়ালে-আবডালে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বদের অনেকেই তা মেনে নিতে শুরু করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কেন যখন সময় ছিল, তখন শুভেন্দু অধিকারীর মানভঙ্গ করে তাকে দলে সক্রিয় করল না তৃণমূল কংগ্রেস! যদি সময় থাকতে থাকতে শুভেন্দু অধিকারীর মানভঙ্গ করা সম্ভব হত, তাহলে হয়ত বা শুভেন্দু অধিকারী দলবদল করতেন না এবং তার ফলে তৃণমূলে এতটা ভাঙ্গন ধরতে পারত না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশ্লেষকদের মতে, অতীতে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করার সাথে সাথেই তাকে একইভাবে মীরজাফর বলা হয়েছিল তৃণমূলের তরফ থেকে। শুধু তাই নয়, মুকুল রায় চলে গেলেও তিনি তৃণমূলে ভাঙন ধরাতে পারবেন না বলে দাবি করেছিল শাসক দল। কিন্তু তার পরবর্তী সময় কালে লোকসভা নির্বাচনের আগে এবং পরে সেই মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলের একাধিক জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে হেভিওয়েট নেতা ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেছিলেন। আর মুকুল রায়ের মত শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে নাম লেখাতে না লেখাতেই তাকে গুরুত্বহীন বলে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেস।

কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে বিভিন্ন জেলায় শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে নাম লেখাতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেসে, তাতে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, তৃণমূলের এখনও যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তাই তিনি গেরুয়া শিবিরের নাম লেখাতে না লেখাতেই তার পথ ধরে বিজেপিতে নাম লেখাতে শুরু করেছেন একাধিক হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের একাধিক জনপ্রতিনিধিরা।

ভবিষ্যতে সেই শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে অনেক হেভিওয়েট মন্ত্রী গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাবেন বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে ফ্যাক্টর বলা না হলেও, তিনি যে দিনকে দিন বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াচ্ছে শাসকদলের কাছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!