এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কলকাতার দিকে পা বাড়ালেন তৃণমূলের ৬ প্রভাবশালী জেলা নেতা! শাসকদলের অন্দরে শুরু তীব্র জল্পনা

কলকাতার দিকে পা বাড়ালেন তৃণমূলের ৬ প্রভাবশালী জেলা নেতা! শাসকদলের অন্দরে শুরু তীব্র জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে দলের সংগঠনগত রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর রাজ্যের বেশ কিছু জেলার পুরোনো তৃণমূল কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল জেলা কমিটি নিয়ে এখনো চলছে যথেষ্ট টালবাহানা, মতান্তরের পালা। এবার মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কলকাতা রওনা হলেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের ৬ জন গুরুত্বপূর্ণ নেতা।

প্রসঙ্গত গত ২২ সে সেপ্টেম্বর তৃণমূলের নতুন কমিটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয়া হয়। এরপর আগামী মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হলো, মুর্শিদাবাদ জেলা সংগঠনের সভাপতি আবু তাহের, জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান সুব্রত সাহা ও সৌমিক হোসেন, অরিত মজুমদার, অশোক দাস, খলিলুর রহমান জেলার এই ৪ জন কো-অর্ডিনেটর। এদের উপযুক্ত পর্যালোচনা করেই জেলা কমিটির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে অভিমত জেলা তৃণমূল দলের বেশ কিছু নেতার।

তবে, মুর্শিদাবাদ জেলার নতুন জেলা কমিটিতে কে পদ পাবেন, কে পাবেন না সেই বিষয়ে যথেষ্ট মন্তাতর ও জল্পনা আছে। প্রসঙ্গত মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠীর উদ্ভব ঘটেছে। যার মধ্যে আছে আদি তৃণমূল গোষ্ঠী, কংগ্রেস থেকে আগত তৃণমূল কর্মী, শুভেন্দু অধিকারী হাত ধরে ক্ষমতা আসার তৃণমূল নেতা-কর্মী, শুভেন্দু অধিকারীর অপসারণের পর ক্ষমতাবান হয়ে ওঠা অভিষেক গোষ্ঠী। তাই এতজনের মধ্যে দলের কমিটিতে কে থাকবেন? কে বাদ যাবেন তা নিয়ে যথেষ্ট জল্পনা বাড়ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে আবার অধীর চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্বভার নেবার পরই তৃণমূল থেকে কংগ্রেস দলে ফিরতে শুরু করেছেন কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসা বেশ কিছু তৃনমূল সদস্য। এদিকে আবার এই জেলার হিন্দুপ্রধান এলাকাগুলিতে নিজেদের রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি করতে বিজেপি AIMIMকে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির সুযোগ দিয়েছে এই জেলার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে। যা তৃণমূলের যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। এর ফলে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংক যথেষ্ট ধাক্কা খেতে পারে। এ কারণেই তৃণমূল দলের এই ছয় নেতার বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বৈঠকের পর তৃণমূলদলের জেলা কমিটিতে কারা থাকবেন? করা থাকবেন না? তা নিয়ে চূড়ান্ত জল্পনা আছে দলের অন্দরে।

তৃণমূলের এই নতুন কমিটি গঠন সম্পর্কে তৃণমূল দলের জেলাস্তরীয় জনৈক নেতার বক্তব্য, ” অনেকদিন ধরেই আজ হবে কাল হবে করে দল ঘোষণা পিছিয়ে যাচ্ছে। দলের সব কর্মসূচিই হচ্ছে তবে মনোযোগ দিতেও পারছি না সেই সব কাজে। পদ থাকলে দলের কর্মীদের কাছে মান থাকে, নইলে নয়।” তবে এই বৈঠক প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি, কো-অর্ডিনেটর কোন বক্তব্য রাখতে আগ্রহী নন। তবে কলকাতা যাওয়ার পূর্বে তৃণমূল দলের জনৈক কো-অর্ডিনেটর অশোক দাস এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ” কেন ডাকা হয়েছে, সেখানে রাজ্য নেতারা কি বলবেন তা জানি না। শুধু জানি রাজ্য নেতৃত্ব কলকাতা যেতে বলেছেন তাই যাচ্ছি।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!