এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রক্তদানে উৎসাহ বাড়াতে বড় সিদ্ধান্ত-শিবির পিছু ৫ হাজার,টিফিনের জন্য ১০০

রক্তদানে উৎসাহ বাড়াতে বড় সিদ্ধান্ত-শিবির পিছু ৫ হাজার,টিফিনের জন্য ১০০


এবার স্বেচ্ছায় রক্তদানকারীদের উৎসাহ বাড়াতে নয়া পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় পরামর্শদাতা কমিটিকে। গোটা দেশের রক্তদান কর্মসূচিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতেই নতুন উদ্যোগ নিতে দেখা গেলো কমিটির সদস্যদের। এ বিষয়ে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিতে ২৭ জন কমিটি মেম্বার বৈঠকেও বসেছিলেন। বৈঠকে রক্তদানকারীদের ‘জলখাবার’ প্রসঙ্গে নেওয়া হয়েছে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। সেগুলি যথাক্রমে হল ১. রক্তদান শিবির আয়োজক সংস্থাগুলোকে শিবিরপিছু দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা। ২. দেশজুড়ে স্বেচ্ছায় রক্তদানের বিনিময়ে রক্ত পাওয়ার প্রতিশ্রুতির ডোনার্স কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড তুলে দেওয়া হবে। ত. ব্লাড ব্যাঙ্ক নামটিই সরিয়ে তার জায়গায় নতুন নামকরণ হবে ব্লাড সেন্টার। এছাড়া কমিটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন জাতীয় রক্ত সঞ্চালন পর্ষদের শীর্ষকর্ত্রী ডাঃ শোবিনী রাজন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল এবং কমিটির চেয়ারম্যান ডাঃ আর এস গুপ্তা, ওয়েস্টবেঙ্গল ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব ঘোষ সহ আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।

em>আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল,এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কমিটির অন্যতম সদস্য অপূর্ববাবু কারণস্বরূপ তুলে ধরেন রক্তদান সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য। তিনি জানান,এতদিন রক্তদাতারা রক্তদানের বিনিময়ে পেতেন ২৫ টাকার জলখাবার । তাও এই প্রাপ্য টাকার পরিমান দেশের সব জায়গায় সমান ছিল না। তাও আবার কোথাও মিলত, কোথাও মিলত না। এই ন্যূনতম টাকা আদায় করতেই শিবিরের আয়োজকদের নাস্তানাবুদ হতে হতো। এরসঙ্গে জুড়ে অপূর্ববাবু আরো জানালেন নতুন সিদ্ধান্তটির কথা। এবার থেকে ২৫ টাকার বদলে রক্তদাতাদের মিলবে ১০০ টাকা। আর এই ১০০ টাকা মধ্যে ৫০ টাকা দেবে কেন্দ্র, বাকি ৫০ টাকা যাবে রাজ্যের ভান্ডার থেকে। তবে এই টাকা সরাসরি কাদের অ্যাকাউন্টে যাবে, আয়োজকদের নাকি ব্লাড ব্যাঙ্কগুলির- সেই সিদ্ধান্তের এখনো কিনারা করা হয়নি।
অন্যদিকে, প্রাপ্ত টাকায় রক্তদাতারা সত্যিই সমমূল্যের পুষ্টিকর জলখাবার পাচ্ছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখবেন শিবিরে উপস্থিত মেডিক্যাল অফিসাররা। কিন্তু, যে ডোনার্স কার্ড প্রয়োজনে কাজে আসতো হাজারো মানুষের,সেই কার্ড তুলে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাফাই দিয়ে বলেন যে, ডোনার্স কার্ড নিয়ে দুর্নীতি ঠেকাতোই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এখন তো সমস্ত সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে বিনামূল্যেই রক্ত পাওয়া যায়,তাই সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ওদিকে কমিটি মেম্বারদের বাকি সিদ্ধান্তে সম্মতি দিলেও এই যুক্তি একদমই মানতে চাইলেন না রাজ্য রক্ত সঞ্চালন পর্ষদের সদস্য অচিন্ত্য লাহা। পাল্টা যুক্তি দিয়ে তিনি জানালেন যে, বিপদ আপদে আজও লাখ লাখ সাধারণ মানুষের কাজে আসে ডোনার্স কার্ড। তাই এ ব্যাপারে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের প্রার্থনা করলেন। উল্লেখ্য,এই মুহূর্তে গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরা—এই দুই রাজ্যে ডোনার্স কার্ড চালু রয়েছে। আর ব্লাড ব্যাঙ্কের নাম বদলে ব্লাড সেন্টার হবে হওয়া কারণ প্রসঙ্গে কমিটির পরামর্শদাতারা যুক্তিতে জানালেন যে, ব্যাঙ্ক শব্দটির মানে কোনও কিছু গচ্ছিত রাখা বোঝায়। রক্ত তো ব্যক্তিবিশেষের সম্পত্তি নয়। তাই এটির নাম পাল্টে ব্লাড সেন্টার করা হচ্ছে। সম্প্রতি এই রক্তদান বিষয়ক রদবদল কর্মসূচীও নিয়ে দলীয় অন্দরে তৎপরতা তুঙ্গে রয়েছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে কমিটি সূত্রের খবর থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!