এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হঠাৎ করেই মমতার রোষানলে তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট বিধায়ক! শাসকদলের অন্দরে জল্পনা তীব্র!

হঠাৎ করেই মমতার রোষানলে তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট বিধায়ক! শাসকদলের অন্দরে জল্পনা তীব্র!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক আসনে পরাজিত হয়েছে। তার প্রধান কারণ, দলের নিচুতলার নেতা-কর্মীদের দুর্নীতি এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সঠিকভাবে জনসংযোগ না থাকার কারণে দলকে অনেক জায়গায় পর্যুদস্ত হতে হয়েছে। যার পরবর্তীকালে প্রশান্ত কিশোর দলের দায়িত্ব নিয়ে কোন কোন জনপ্রতিনিধি ভালো কাজ করছেন এবং কারা মানুষের সঙ্গে মিশছেন না, তাদের তালিকা তৈরি করেছেন। যা সরাসরি চলে যাচ্ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে।

আর তার ভিত্তিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস দলের তরফে সেই সমস্ত মানুষের সঙ্গে না মেশা নেতাদের সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। আর এবার সামনে বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সমস্ত জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের বৈঠকে একাধিক বিধায়ককে জনসংযোগ করার পরামর্শ দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোষানলের মুখে পড়তে হল শালবনির তৃণমূল বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো গড়বেতার আশিস চক্রবর্তী এবং নারায়ণগড়ের প্রদ্যোত ঘোষকে।

জানা গেছে, শালবনির তৃণমূল বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোর সঙ্গে ব্লক সভাপতি নেপাল সিংয়ের তীব্র বিরোধ রয়েছে। এদিন সেই কথা তুলে ধরেই শ্রীকান্ত মাহাতোকে সতর্ক করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “তুই এখনও নেপাল সঙ্গে ঝগড়া করছিস! এক হয়ে কাজ কর।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, শ্রীকান্ত মাহাতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন, “দিদি আমাদের মধ্যে কোনো ঝগড়া নেই।” আর এরপরই শ্রীকান্তবাবুকে নিজের এলাকায় আরও বেশি করে সময় দেওয়ার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইভাবে গরবেতা ও নারায়নগড়ের তৃণমূল বিধায়ককেও কেউ জনসংযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।

নারায়ণগড়ের তৃনমূল বিধায়ক প্রদ্যোৎ ঘোষকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এখনও নারায়নগড়ে ভোটার তালিকায় নাম তোলা হয়নি কেন?” অন্যদিকে গড়বেতার তৃণমূল বিধায়ক চক্রবর্তীর উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “এখনও ভোটার তালিকায় নাম তুলিসনি কেন? ভোটে জিততে হবে তো! ভোটে জেতার কি একেবারেই ইচ্ছে নেই?” আর প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলে বেশি সময় দিতে না পারলেও, তিনি যে দলের সমস্ত জায়গার নেতা-নেত্রীদের খবর রাখেন, তা এদিনের এই ভিডিও কনফারেন্স থেকেই কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল বলেই মনে করছে তৃণমূলের একাংশ।

যার ভিত্তিতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন জনসংযোগে না যাওয়া বিধায়কদের আরও বেশি করে জনসংযোগে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ তিনি বুঝিয়ে দিলেন, এখন থেকেই যদি জনসংযোগ করা না হয়, তাহলে আগামী দিন সমস্যার হতে পারে। তাই পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক তৃণমূল বিধায়কের কথা তুলে ধরে তাদের কিছুটা ধমক দিয়ে সতর্ক করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। এখন নেত্রীর এই ধমকের পর আগের মতই স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকেন এই সমস্ত তৃণমূল বিধায়করা, নাকি আরও বেশি করে তারা জনসংযোগে সামিল হন, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!