এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আবার সরাসরি শুভ্রা কুণ্ডুর আবাসনে হাজির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাসংস্থার কর্তারা

আবার সরাসরি শুভ্রা কুণ্ডুর আবাসনে হাজির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাসংস্থার কর্তারা


সারদা কাণ্ড ধরা পড়ার পর একের পর এক দুর্নীতিপূর্ণ স্কিমের কথা প্রকাশ হতে থাকে। আর সে ভাবেই প্রকাশ হয় রোজভ্যালির কথা। সেসময় রোজভ্যালির কর্ণধার ছিলেন গৌতম কুন্ডু। যাকে তড়িঘড়ি গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু রোজভ্যালি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে তদন্তকারীদের হাতে একাধিক প্রমাণ উঠে আসে। যেখানে সন্দেহের তালিকার শীর্ষে উঠে আসতে থাকে গৌতম কুন্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুন্ডু। ইতিমধ্যেই রোজভ্যালির তদন্তে গতি আনতে কোম্পানির সমস্ত গয়নার দোকান এবং টেলিভিশন চ্যানেলের অফিসটিতে তরফ থেকে হানা দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন পর তদন্তে গতি প্রকৃতি দেখা গেছে।

এ বছর জানুয়ারি মাসের 10 তারিখে গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুন্ডু মুখোমুখি হয়েছিলেন এনফোর্সমেন্ট। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কর্তাদের এদিন আবার শুভ্রা কুন্ডুকে জেরা করার জন্য তার আবাসনে হাজির হয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর টানা চার ঘণ্টা ধরে শুভ্রা কুন্ডুকে জেরা করা হয়। সম্প্রতি ইডি দপ্তরে গিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র জমা দিয়েছিলেন শুভ্রা কুণ্ডু। অন্যদিকে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, শুভ্রা কুন্ডু বেশ কয়েক বছর ধরে টানা বিদেশে গেছেন পরপর। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, সেই সময় বাইরের দেশে টাকা পাচার হতে পারে। সে ব্যাপারে তদন্ত করছে সিবিআই।

অন্যদিকে, ইডি সূত্রে জানা গেছে, বারাসাত থেকে বেহালা পর্যন্ত রোজভ্যালির যে গয়না বিপনিগুলি আছে তাতে গোয়েন্দা অধিকর্তারা সার্চ করে অন্তত দেড়শ’ কোটি টাকার বেশি গরমিল পেয়েছে। এবং শুভ্রা কুন্ডুকে সে কারণেই জেরা করবার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে ইডি। কারণ এই প্রত্যেকটি বিপনী দেখভাল করতেন গৌতম কুন্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুন্ডু। অন্যদিকে, বাগুইহাটিতে রোজভ্যালির একটি টেলিভিশন চ্যানেলের অফিস ছিল। সেখানেও চ্যানেল প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্টের মাথায় ছিলেন শুভ্রা। সেই অফিস সম্পর্কেও বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য শুভ্রা কুন্ডুকে জেরা করে ইডি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হন টালিগঞ্জের নামকরা অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের সাথেই শুভ্রা কুন্ডু ডেকে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু সে সময় শুভ্রা কুন্ডু হাজিরা দেননি। পরপর দুবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তর থেকে নোটিশ পাঠালেও শুভ্রা কুন্ডু দুইবারই এই নোটিশ এড়িয়ে গেছেন। রোজভ্যালি তদন্তের প্রথমদিকে শুভ্রা কুন্ডুর সাথে ইডির এক অফিসারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের খোঁজ পাওয়া যায়। খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ইডির পক্ষ থেকে ওই আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হয়। উপরন্তু সারদা, নারদা এবং রোজভ্যালি তদন্তে সিবিআইয়ের তদন্তকারী ছজন অফিসারকেও সরিয়ে দিয়েছিল তাঁদের দপ্তর। তবে এতদিন বিভিন্ন কারণে রোজভ্যালি মামলা নিয়ে গড়িমসি করলেও এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তর তৎপরতা দেখিয়েছেন।

রোজভ্যালি কাণ্ডে সিবিআই এর পদক্ষেপের পর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপে যদি প্রশাসনিক স্তর থেকে সাহায্য করা হয়, তাহলে রোজভ্যালি কান্ডে আরও অনেক মাথা এবার সামনে আসবে। তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, রোজভ্যালি কাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে ইতিমধ্যে অনেক হেভিওয়েট ব্যক্তিত্ব সিবিআইয়ের নজরবন্দি হয়েছেন। অনেকেই সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হয়েছেন যাদের মধ্যে শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরাও রয়েছেন। তবে এবার দেখার, প্রশাসক কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে রোজভ্যালি কাণ্ডে তদন্তের গতি প্রকৃতি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কতটা সাহায্য করে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!