সমীকরণ কি বদলাচ্ছে? মমতার পাশে দাঁড়িয়ে গুঞ্জন বাড়ালেন আব্দুল মান্নান জাতীয় বিশেষ খবর রাজ্য January 12, 2018 প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান সর্বদায় রাজ্যের শাসকদলের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বান্দ্যোপাধ্যায়ের স্বঘোষিত বিরোধী। এমনকি কয়েকদিন আগেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগে এই দুজনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন মানস ভূঁইয়া। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর উল্টোপথে হেঁটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে সুর মিলিয়ে এবার রাজনৈতিক গুঞ্জন বাড়ালেন কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল মান্নান। ‘বিদেশি বিতাড়নের’ নামে আসামে বাঙালি সহ অ-হিন্দুদের অহেতুক তাড়ানো নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় মমতা বান্দ্যোপাধ্যায়ের পদক্ষেপকে অধীরবাবু তীব্র কটাক্ষ করলেও আব্দুল মান্নান একই আশঙ্কা ব্যক্ত করে এ ব্যাপারে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ দাবি করে তাঁকে চিঠি দিয়েছেন। মান্নান সাহেবের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এই নাগরিকপঞ্জী তৈরি হচ্ছে ঠিকই। আমরা এই পঞ্জী বা তালিকা তৈরির বিরোধী নই। কিন্তু বিদেশি চিহ্নিতকরণের নামে ওখানে দীর্ঘকাল ধরে বসবাসকারী বাঙালিদের খেদানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এজন্য বাঙালিদের কাছে বিশেষভাবে সে রাজ্যে কবে থেকে বসবাস করছে, সেই সাল-তারিখের নথি চাওয়া হচ্ছে। কেবল অসম নয়, মোদির গুজরাত সহ কোনও রাজ্যেই সাধারণ, বিশেষ করে গরিব মানুষের পক্ষে এই ধরনের নথি চট করে জোগাড় করা সম্ভব নয়। অথচ পঞ্জী তৈরির কাজে যুক্ত আধিকারিকরা অসমের বাঙালিদের কাছেই এই ধরনের নথি চেয়ে হয়রান করছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি। এর ফলে বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কায় ঘুমোতে পর্যন্ত পারছেন না। আমরাও একই কারণে এনিয়ে উদ্বিগ্ন। তাই দেশের প্রধান কর্ণধার হিসেবে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ চেয়েছি। কিন্তু এই চিঠির ফলেই তো রাজনৈতিক গুঞ্জন উঠে গেছে যে আব্দুল মান্নান ক্রমশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই কথা বলতে শুরু করেছেন। মান্নান সাহেবের এবারও সোজা সাপ্টা উত্তর, আমি কারও সুরে কথা বলব বলে এই প্রতিক্রিয়া দিচ্ছি না। বিষয়টি উদ্বেগের বলেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বিপরীত মুখে হেঁটে আব্দুল মান্নানের এই পদক্ষেপ নতুন কোনো রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। আপনার মতামত জানান -