এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অভিষেকের গড়ে তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ বিজেপির দিকে

অভিষেকের গড়ে তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ বিজেপির দিকে

এবারের লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপির উত্থানের পরেই পার্টি অফিস দখল নিয়ে নতুন ট্র্যাডিশন শুরু হয় বাংলায়। ফলাফল প্রকাশের পরই বিজেপি দখলের রাজনীতি শুরু করেছে বলে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করতে শুরু করে শাসক দল। এমনকি নিজেদের ভাবমূর্তি ফেরাতে বিজেপির বিরুদ্ধে পার্টি অফিস দখল করার অভিযোগ তুলে ময়দানে নামতে দেখা যায় স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।

সম্প্রতি নৈহাটিতে গিয়ে বিজেপি তাদের দলীয় কার্যালয় দখল করেছে এই অভিযোগ তুলে সেই কার্যালয়ে জোড়াফুল প্রতীক এবং “এআইটিসি” লিখে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক দক্ষিণ 24 পরগনার রায়চকে তৃণমূলের পার্টি অফিস দখল ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল সেই বিজেপির বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, রবিবার সকালে রায়চকের তৃণমূল কর্মীরা যখন তাদের দলীয় কার্যালয় খুলতে যান, তখন পার্টি অফিসের টালির চালের বেশ কিছুটা অংশ ভাঙ্গা এবং কার্যালয়ের সামনের বাঁশে যে সমস্ত জায়গায় তাদের দলীয় পতাকা লাগানো ছিল, সেগুলো নিচে ফেলে রাখতে দেখেন তারা। আর এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। গোটা ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে সরব হয় ঘাসফুল শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, তৃণমূলের পার্টি অফিসের উল্টোদিকে তৃণমূলের কর্মী প্রভাকর মন্ডল এবং গদাধর মন্ডলের দোকানেও ব্যাপক ভাংচুরের অভিযোগ তোলেন ঘাসফুল শিবিরের কর্মীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে ডায়মন্ডহারবার 2 নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি অরুময় গায়েন বলেন, “আগে যারা সিপিএম করত, তারাই এখন বিজেপির সক্রিয় কর্মী হয়ে আমাদের পার্টি অফিস এবং আমাদের দুই দলীয় কর্মীর দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে। এই ঘটনায় রামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।”

এদিকে তৃণমূল এই ব্যাপারে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি সুফল ঘাটু বলেন, “আসলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারনেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের সাহায্য নিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিজেপিকে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছে।”

তবে শাসক বনাম বিরোধীর অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মাঝেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলছেন, যেভাবে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বিভিন্ন জায়গায় পার্টি অফিস দখলকে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধীর সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে, তাতে কবে সেই ট্রাডিশন বন্ধ হয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!