প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানোয় বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে মামলা, জোর চাঞ্চল্য কলকাতা জাতীয় রাজ্য July 28, 2019 এতকাল বাংলায় শাসকের বিরুদ্ধে কোনো প্রশ্ন করলেই তাকে শ্রীঘরে বন্দি করে রাখা হত বলে অভিযোগ তুলতে দেখা যেত বিরোধীদের। কিন্তু এবার বাংলার সেই ছায়া কি ভারতবর্ষের মাটিতেও পড়তে চলেছে! রাজনৈতিক মহলে কিন্তু এখন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে। কেননা সম্প্রতি দেশজুড়ে গণপিটুনি ও অসহিষ্ণুতা ইস্যুতে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি দিয়েছিলেন দেশের প্রায় 49 জন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। যাদের মধ্যে বাংলা থেকে অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মত বিশিষ্টজনেরা ছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠানো সেই 49 জন বুদ্ধিজীবীর বিরুদ্ধেই এবার মামলার আবেদন জানানো হল বিহারের আদালতে। যে ঘটনায় এখন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। সূত্রের খবর, শনিবার বিহার আদালতে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এক আইনজীবী ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, দোষ দেওয়া এবং রাষ্ট্রদোহিতা ধারায় পিটিশন দাখিল করেছেন। যেখানে আশ্চর্যজনকভাবে সাক্ষী হিসেবে নাম রয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াত, মধুর ভান্ডারকার এবং বিবেক অগ্নিহোত্রীর নাম। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বস্তুত, গণপিটুনি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিবাদ জানিয়ে যে 49 জন বুদ্ধিজীবী প্রথমে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, তার পাল্টা সেই প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে তাকে সমর্থন করে চিঠি পাঠাতে গিয়ে দেখা গিয়েছিল এই কঙ্গনা রানাওয়াত, মধুর ভান্ডারকার এবং বিবেক অগ্নিহোত্রীর মত বুদ্ধিজীবীদের। ফলে গণপিটুনি ইস্যুতে শাসকের কাছে সুবিচার চাইতে গেলে এখন সেই লড়াই যে রাজনীতির রণাঙ্গনে বুদ্ধিজীবী বনাম বুদ্ধিজীবীদের লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেল বলে মনে করছে বিশ্লেষকদের একাংশ। জানা গেছে, আগামী 3 আগস্ট এই মামলার শুনানি হবে। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে এখন বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, তাহলে কি শাসকের চেয়ারে বসলেই আচরণের পরিবর্তন হয়ে যায়! গনপিটুনি ইস্যুতে যদি দেশের মানুষেরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাইতে যান, তাহলে কেন তাদের বিরুদ্ধে এভাবে মামলা করা হবে! তাহলে কি এটা গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ নয়! একাংশের মতে, বাংলায় যারা গণতন্ত্র নেই, তৃণমূলের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হরণের অভিযোগ তুলছিলেন, ভারতবর্ষেও তো সেই একই ছায়া পড়তে চলেছে। তাহলে এবার কে কাকে দায়ী করবে! কেন শাসকের কাছে সুবিচার চাইতে যাওয়াটা শাসকের রোষের কারণ হয়ে দাঁড়াবে! কেনই বা এর জন্য সুবিচার চাওয়া বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে! প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -