এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > নাম না করে অনুব্রত মন্ডলের আয়ের উৎস জানতে চাইলেন মুকুল রায়

নাম না করে অনুব্রত মন্ডলের আয়ের উৎস জানতে চাইলেন মুকুল রায়


ফের তৃণমূলের আয়ের উৎস নিয়ে প্রকাশ্য জনসভায় মন্তব্য করলেন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা মুকুল রায়। রাজ্যসরকারের বিভিন্ন ত্রুটি তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় মুখর হলেন তিনি। পাশাপাশি পুরো নাম উচ্চারণ না করেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে।

উল্লেখ্য, ডিসেম্বরে রাজ্য ব্যাপী বিজেপির রথযাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন থেকেই জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে সভা করে প্রচার কর্মসূচি জোরদার করে তুলেছে রাজ্যের পদ্মনেতৃত্বরা। সেই সূত্রেই এদিন মল্লারপুরের রায়পাড়ার শিবমন্দির সংলগ্ন মাঠে জনসভা করেন মুকুল রায়। এবং বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন শাসকদলের বিরুদ্ধে।

প্রকাশ্য জনসভা থেকেই পরোক্ষ ভাবে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। স্থাবর,অস্থাবর এতো সম্পত্তি কোথা থেকে এল তৃণমূল নেতার কাছে তা জানতে চেয়েও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করান অনুব্রত বাবুকে।

প্রসঙ্গে টানেন তৃণমূল কংগ্রেসের গোটা রাজনৈতিক দলটাকেই। বলেন,”আমি যদি বলতে যাই ২০১১-২০১৮ সালের মধ্যে তৃণমূলের মোট কত সম্পত্তি হয়েছে, তবে অনেক সময় লাগবে। যোগ করলে অনেক কোটি টাকা হয়ে যাবে।” তৃণমূলকে ‘সততার দল’ বলে কটাক্ষও করেন তিনি। অর্থাৎ তাঁর কথায় মুখে সততার বুলি আওড়ালেও এটি আসলে একটি দুর্নীতিবাজদের দল।

এঁদের মধ্যে যাঁর সততা ছিল,সে দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। ফরওয়ার্ড ব্লক তাকে টেনে নিয়েছে। তৃণমূল যে কতোটা দুর্নীতিগ্রস্থ দল তা বোঝাতে তিনি বলেন, আজ রাজ্যের এমন কোনো উন্নয়নমূলক কাজ নেই যা ঘুষ ছাড়া হয়! বাড়ি কেনা থেকে শুরু করে রাস্তা বানানো,শৌচাগার তৈরি করা হোক সবেতেই প্রশাসনিক কর্তাদের পকেট পূর্তি করতে হয়। বেশিরভাগ তৃণমূল নেতাই বালিমাফিয়া একথা অজানা নেই পুলিশেরও।

এরপরই প্রকাশ্যে নামোল্লেখ না করে অনুব্রত মন্ডলকে কটাক্ষ করে মুকুলবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে এসব বিষয়ে কিছু বলতে গেলে উনি বলেন, ওর শরীরটা খারাপ। অহেতুক ওকে রাগিয়ে দেওয়া হয়। ওর শরীরে অক্সিজেন ঠিকমতো যায় না। আমরা তো জমিদার বাড়ির ছেলে। জমিদারি যখন থাকে তখন সেটা পূর্ব পুরুষ থেকেই থাকে। জমিদারিটা নতুন করে হয় না।”

এর পাশাপাশি সম্পত্তির হিসাব দিতে গিয়ে বেশ কয়েকটি জমির দাগ নম্বর,খতিয়ান নম্বরও তুলে ধরেন তিনি। কটাক্ষের স্বর চড়িয়ে বলেন,”কোনও এক মণ্ডল পদবীর লোকের সম্পত্তি ২০১১ সালের পর লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে।” এরপর রাজ্যসরকারকে তোপ দেগে বলেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দেনা কোনোদিনই শোধ হবে না। ৫৫ হাজার কারখানা যে মুখ্যমন্ত্রী কোনোদিনই খুলতে পারবেন না,তা বিজেপি আগে থেকে জানত। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে রাজ্যের একটাও বেকার চাকরি পাবে না। এই প্রেক্ষিতে যদি এখন অনেকে যদি প্রশ্ন তোলে তৃণমূল দুর্নীতিগ্রস্থ জেনেও কেন মুকুল বাবু বহুবছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন,তাহলে কী জবাব হবে মুকুল রায়ের?

উত্তর তিনি নিজেই দিয়ে দিলেন। বললেন,রাজ্যে গণতন্ত্র ফেরাতে তিনি তখন ওটা করেছিলেন। কটাক্ষ করে বললেন,”আগে চোরে বাড়ি থেকে হয় একটা শাড়ি বা জামা চুরি করে নিয়ে যেত। এখন বুঝেছি চোর তাড়াতে গিয়ে তো ডাকাত ডেকে নিয়ে আসা হল। পুরো বাড়িটাই নিয়ে চলে যাচ্ছে।”

উল্লেখ্য,মুকুল রায় আগেও প্রকাশ্য জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তৃণমূলের আয়ের উৎস এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন। চিটফান্ড কান্ড থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বারবার শিল্প আনার নামে বিদেশে পাড়ি দেওয়া হোক বা মুখ্যমন্ত্রীর নিজের হাতে আঁকা চিত্র বিক্রি সবকিছুই দুর্নীতিগ্রস্থ,এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন বহুবার।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছেন অধুনা এই বিজেপি নেতা। তবে তৃণমূলও সময়ে সময়ে তাঁর আক্রমণের পাল্টা দিয়েছে বরাবরই। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি পর্বে এদিন ফের একবার তৃণমূলের আয়ের উৎসে প্রশ্নচিহ্ন রেখে রাজ্যরাজনীতিতে হইচই বাঁধিয়ে দিলেন বিজেপির এই দাপুটে নেতা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!