এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হঠাৎ একি হলো মমতার? আরএসএস প্রীতি সামনে আসতেই সোচ্চার বিজেপি!

হঠাৎ একি হলো মমতার? আরএসএস প্রীতি সামনে আসতেই সোচ্চার বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিজেপিকে দেখে ভয় পাচ্ছেন, তা প্রতি সেকেন্ডে প্রমাণ হচ্ছে। আর সেই প্রমাণ নিজেই করে দিচ্ছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এতদিন তিনি অভিযোগ করতেন, আরএসএস বিজেপির হয়ে কাজ করছে। তারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরি করার চক্রান্ত করছে। কিন্তু নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে আরএসএস সম্পর্কে কিছুটা হলেও ভালো কথা শোনা গেল। তিনি এই সমাজসেবী সংগঠনের কাছে আবেদন করলেন যে, যারা ধর্মকে ভাঙছে, তাদেরকে সমর্থন করবেন না। অর্থাৎ আরএসএস যেন বিজেপিকে সমর্থন না করে, এটাই নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু হঠাৎ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত পরিবর্তন কেন? এতদিন যে আরএসএসকে তিনি দুচোখে দেখতে পারতেন না, হঠাৎ করে তার কাছে বিজেপিকে আটকানোর আবেদন করতে হলো কেন তৃণমূল নেত্রীকে? তবে এসব চালাকি বেশিদিন খাটবে না। লোকসভা নির্বাচনের আগে আরএসএস ভালো বলে নিজের জমি রক্ষার চেষ্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করলেও, তাকে কার্যত ধুয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে আরএসএসের শরণাপন্ন হওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর এই আরএসএসের শরণাপন্ন হওয়া দেখে এখন ভালো লাগছে। একসময় তো তিনি বলেছিলেন, এর আগে ভালো ছিল। এখন আর ভালো নেই। কিন্তু আমার মনে হয়, আরএসএসকে এইভাবে রাজনীতিতে টানা ঠিক নয়। এটা কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। এটা একটা সামাজিক সংগঠন।” একাংশ বলছেন, সুকান্ত মজুমদারের এই বক্তব্য এখন কেমন লাগছে তৃণমূল নেত্রীর? বিজেপিকে আটকাতে তিনি তো দূরের কথা, যে বিরোধী জোট হয়েছে, সেই সবাই যদি একত্রিত হয়েও লড়াই করে, তাহলেও মোদীকে আটকাতে পারবেন না। তাই এখন আরএসএসকে ঢাল করে বাঁচার চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু আরএসএস একটি সামাজিক সংগঠন, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুলে গিয়েছেন। তাই তিনি যে কথাই বলুন না কেন, দেশের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী যখন কাজ করছেন, তখন আরএসএস অন্তত এই চোরেদেরকে সমর্থন করবে না, এটা স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক মতাদর্শ ন্যায়-নীতিবোধ বলতে কিছু নেই‌। তিনি ক্ষমতার জন্য লালায়িত। তাই এখন দেশকে বাঁচাতে হবে বলে নাটক করছেন। কিন্তু দেশ ঠিকভাবেই এগিয়ে চলছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করে যে দুর্নীতিতে তারা এই সোনার বাংলাকে ঠেলে দিয়েছেন, তাতে দেশের মানুষ অন্তত এই চোরেদেরকে সমর্থন করবেন না। আর আরএসএসকে এতদিন বাজে কথা বলার সময় কেন এসব মনে পড়েনি মুখ্যমন্ত্রীর? এখন তার এই সমস্ত আহ্লাদে গদগদ হয়ে যাওয়ার মত বক্তব্য নিয়ে কেউ ভাবিত নয়। দেশ বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। আর আগামী দিনে লোকসভা ভোটে এই চোরেদের রাজত্ব শেষ করবেন গোটা দেশের মানুষ বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, পশ্চিমবঙ্গ শুধু নয়, গোটা দেশের বুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক আজব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। যার কোনো মতাদর্শ নেই। নিজের সুবিধার জন্য তিনি কাউকে কাছে টানেন, আবার কাউকে ছুড়ে ফেলে দেন। এতদিন যে আর এসএসকে তিনি গালিগালাজ করতেন, এখন সেই আরএসএসের কাছেই তিনি বিজেপিকে যাতে সমর্থন না করা হয়, তার জন্য আবেদন করছেন। আর এতেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, বিজেপি কতটা ভয়ের কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে! লোকসভা ভোটে তার দল কার্যত মোদীর ঝড়ের কাছে উড়ে গিয়ে রাজনৈতিকভাবে বঙ্গোপসাগরে পড়বে। আর সেই আতঙ্কেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আরএসএস প্রীতি। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!