কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের জন্য বড়সড় সুখবর, পেতে চলেছেন বড়সড় অংকের নগদ টাকা জাতীয় বিশেষ খবর October 12, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কেন্দ্রীয় সরকার দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপের কারণ হিসেবে যতই করোনা ভাইরাসের কথা বলুক না কেনো, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যে তার আগে থেকেই যে বেসামাল সেই কথাই বলতে শোনা গিয়েছিল অর্থনীতিবিদদের। বস্তুত, পরে ভারতের অর্থনীতি করোনার পর আরও খারাপ হতে শুরু করে। দীর্ঘকাল বাণিজ্য বন্ধ থাকার কারণে দেশের একটা বড় অংশের মানুষের উপার্জন বন্ধ হয়ে যায়। আর সেই কারণেই বাজারে চাহিদার ঘাটতি দেখা যায় বলেই মনে করেছেন অনেকে। সেই সঙ্গে, আনলক পর্ব থেকে বিভিন্ন বাণিজ্য ক্ষেত্র ব্যবসায়িক কাজে খুলে গেলেও এখনও ভারতের অর্থনীতি বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বলেই অনুমান করা হচ্ছে। যার অন্যতম কারণ হিসেবে সামনে এসেছে চাহিদার ঘাটতি। আসল কথা হলো, মানুষের কাছে কিছু কিনতে গেলে যে অর্থ থাকা প্রয়োজন সেই অর্থই নেই। তাই বাজার ঘোরার সম্ভাবনাও নেই। আর সেই কারণেই অভিজিত্ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদরা মনে করেন যে বাজার ফেরানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে সাধারণ মানুষের হাতে নগদ অর্থ পৌঁছে দেওয়া। আর সম্প্রতি সেই পথেই কেন্দ্রীয় সরকার যেতে চলেছে বলে জানা গেছে। অনুমান করা হচ্ছে, এর ফলে দেশের একটা বড় অংশের কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা লাভবান হচ্ছে। কিন্তু হচ্ছেটা কি? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, উত্সবের মরশুমে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফোটাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন যে, উত্সবের ভাতা হিসাবে সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও অফিসারদের এককালীন ১০হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আর তাই নিয়ে আপাতত খুশির হাওয়া বইছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে। অনুমান করা হচ্ছে, মূলত বাজারকে চাঙ্গা করতেই কেন্দ্র থেকে এই প্রকল্পের ভাবনা ভাবা হয়েছে। একে করোনা পরিস্থিতির পর বাজারের অবস্থা খারাপ। অর্থনীতির অবস্থাও বেহাল। সেই পরিস্থিতিতে ক্রেতার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারলেই একমাত্র বাজারের উন্নতি সম্ভব বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। আর সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই ঘোষণা বলে মনে করছে অর্থনৈতিক মহল। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে বলতে শোনা গেছে যে, এটি একটি এককালীন ভাতা এবং এর কোনরকম সুদ থাকছে না। বস্তুত রুপে কার্ড হিসাবেই এই ভাতা দেওয়া হবে। ২০২১ সালের মার্চ মাসের ৩১ তারিখের আগে এই ভাতা খরচ করতে হবে বলেও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে। এই গোটা প্রকল্পে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আপনার মতামত জানান -