এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > গ্রেপ্তার একের পর এক হেভিওয়েট! ফিরে দেখা নারদ কাণ্ড, ম্যাথু থেকে ফিরহাদ একনজরে সব বৃত্তান্ত

গ্রেপ্তার একের পর এক হেভিওয়েট! ফিরে দেখা নারদ কাণ্ড, ম্যাথু থেকে ফিরহাদ একনজরে সব বৃত্তান্ত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ছাই চাপা আগুনের মত দীর্ঘ সময় ধরে প্রায় নিষ্প্রভ থাকা নারদ কান্ডে আজ এক চাঞ্চল্যকর মোর ঘুরতে দেখা গেল। নারদ কান্ডে আজ প্রথমে চারজন হেভিওয়েটকে সিবিআই দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। যাদের মধ্যে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। এরপর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এই ঘটনাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এই নারদ কান্ডের সূত্রপাত ঘটেছিল গত ২০১৪ সালে। এবার একনজরে দেখে নিন নারদ কান্ডর রোজনামচা।

নারদ কান্ডের উৎপত্তি ২০১৪ সালে। এই সময়ে ম্যাথু স্যামুয়েল তাঁর সহকর্মী অ্যাঞ্জেল আব্রাহামকে নিয়ে একটি স্টিং অপারেশন চালিয়েছিলেন। আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে এই স্টিং অপারেশন চলেছিল। এরপর ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে এই স্টিং অপারেশনের ভিডিও বাজারে ছাড়া হয়। এই ভিডিওতে রাজ্যের বহু হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। ভিডিওতে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জা সহ একাধিক হেভিওয়েটকে। যারা হলেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুলতান আহমেদ, অপরুপা পোদ্দার, শঙ্কুদেব পণ্ডা প্রমুখদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলে দেয়। যদিও দেখা যায় বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের এর তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই স্টিং অপারেশনের ভিডিওকে মিথ্যা বলে বারবার দাবি করা হয়। এরপর কলকাতা হাইকোর্ট ম্যাথু স্যামুয়েল এর কাছে জানতে চায়, এই স্টিং অপারেশনের অর্থ তিনি কোথা থেকে পেয়েছেন? আদালতের কাছে তিনি জানিয়েছিলেন যে, নারদ কান্ডে ৮৫ লক্ষ টাকা তাঁকে দিয়েছিলেন সেসময়কার তৃণমূল সাংসদ কেডি সিংয়ের সংস্থা। যদিও কেডি সিংয়ের সংস্থা এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।

এরপর, কয়েক মাস আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায় প্রমুখরা বিজেপিতে যোগদানের পর স্টিং অপারেশনের ফুটেজ থেকে তাদেরকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ মেনে নেয়নি বিজেপি। এরপর কিছুদিন আগে নারদ মামলার চার্জশিট গঠনের অনুমতি দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এরপর, আজ রাজ্য রাজনীতির ৪ হেভিওয়েটকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। নারদ কান্ডের প্রথম চার্জশিট আজ প্রকাশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে এই চার জনের নাম থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!