প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্ম গুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এক নয়া নির্দেশ জারি করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিতর্কিত ও সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক পোস্ট দেওয়া বন্ধ করতে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এজন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গুলিকে গত ২৬ সে মে পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

প্রথমদিকে গুগল, ইউটিউব, ক্যু বাদে বেশিরভাগ সংস্থা কেন্দ্রের এই নয়া নির্দেশ মেনে দিতে রাজি হয়নি। এরপর দেশের বাজারে সংস্থাগুলি স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে সংস্থাগুলি। একমাত্র টুইটার ছাড়া বেশিরভাগ সংস্থা কেন্দ্রের কাছে এ বিষয়ে নিজেদের মতামত স্পষ্ট করেছে।

কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সোশ্যাল মিডিয়াতে মিথ্যে খবর পরিবেশন বন্ধ করতে এই নতুন নির্দেশিকা আনা হয়েছে। দেশবাসীর সুরক্ষার কারণেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে, জানানো হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকাতে জানানো হয়েছে যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া কোন পোস্ট সম্পর্কে কোন অভিযোগ করা হলে, অভিযোগ পাবার ২৪ ঘন্টা সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মকে সেই অভিযোগের বিষয়টি কেন্দ্রকে জানাতে হবে। এর ১৫ দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। প্রয়োজনে সংস্থাকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে।

সম্প্রতি গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ কেন্দ্রের নীতি সম্পর্কে তাদের মতামত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে। তাদের ওয়েবসাইট আপডেট করার কাজও শুরু করেছে। তবে, টুইটার এর পক্ষ থেকে এখনও কোনও কিছু জানানো হয়নি। সম্প্রতি কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল নীতি কার্যকর করতে একটি নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে এ বিষয় নিয়ে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করেছে একাধিক সোসাল প্লাটফর্ম ও ডিজিটাল মিডিয়া।

টুইটার বাদে অধিকাংশ ডিজিটাল মিডিয়া কেন্দ্রের এই নির্দেশ মেনে নিয়েছে। বেশিরভাগ সংস্থা কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতা করে ব্যবসা চালানোর বিষয়ে তাদের মতামত জানিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, দেশে এই ডিজিটাল সংস্থাগুলির বিস্তৃত বাজার রয়েছে। এই বাজার হারালে তাদের বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এই কারণেই প্রথমে আপত্তি করেও শেষপর্যন্ত কেন্দ্রের নির্দেশ তারা মেনে নিয়েছে।