এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে “না”, তিন বিধায়ককে নিয়ে অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির!

কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে “না”, তিন বিধায়ককে নিয়ে অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতা দখল করতে পারেনি। তবে বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে। তবে বিজেপি তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসা তৃণমূল কংগ্রেস শপথ নেওয়ার পর থেকেই অভিযোগ করছে, দিকে দিকে তাদের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের ওপর হামলা হচ্ছে। যার জেরে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করে সদ্য জিতে আসা বিধায়কদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার রাস্তায় হেঁটেছে গেরুয়া শিবির। সেই মত করে রাজ্যের সমস্ত বিধায়ককে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।

তবে প্রথমেই 77 জন বিধায়কের মধ্যে 15 জন বিধায়ক সেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিতে অস্বীকার করেন। যার জেরে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়ে যায় বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। পরবর্তীতে লকেট চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মিহির গোস্বামী সেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে দেন। আর এবার উত্তরবঙ্গের তিন বিজেপি বিধায়কের সিদ্ধান্তে অস্বস্তিতে পড়ে গেল বঙ্গ বিজেপি।

যেখানে প্রতি মুহূর্তে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, রাজ্যে সন্ত্রাস হচ্ছে, সেখানে কার্যত রাজ্য প্রশাসনের ওপর ভরসা রেখে কেন্দ্রের নিরাপত্তা না নেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়ায় উত্তরের তিন বিধায়কের সিদ্ধান্তে গেরুয়া শিবির যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গে তিন বিজেপি বিধায়ক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রদানের ব্যাপারে কোনো আবেদন করেননি‌। যার মধ্যে রয়েছেন শংকর ঘোষ, শিখা চট্টোপাধ্যায় এবং আনন্দময় বর্মন। আর এই বিজেপি বিধায়কের এই সিদ্ধান্তে এখন তৈরি হয়েছে জল্পনা। তাহলে কি তারা রাজ্য প্রশাসনের উপর ভরসা রাখছেন? কিন্তু যেখানে রাজ্য নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার সরব হচ্ছেন তৃণমূলের হামলার বিরুদ্ধে, সেখানে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে বিজেপি বিধায়করা কি বার্তা দিতে চাইলেন, এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

কেন তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি থেকে জয়ী বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, “আমি বরাবর স্কুটি নিয়ে ঘুরি। মানুষ আমায় এভাবেই দেখছে। আর এভাবেই দেখতে ভালোবাসে। রাজ্যে এত হিংসা চলছে। ভোটে এবং ফল ঘোষণার পরই হিংসা এত জন কর্মীর মৃত্যু। সেই কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। তারা তো আর নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরছেন না। এনিয়েও আমার মনে একটা দুঃখ আছে। প্রতিটি এলাকার পরিস্থিতি আলাদা আলাদা। সেই এলাকার বাস্তবতা দেখে অনেক বিধায়ক নিয়েছেন। আমার এখন মনে হচ্ছে না। আগামী দিনে পরিস্থিতি বদলালে কখনও নিতেও হতে পারে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থ্যাৎ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে রাজ্য নেতৃত্বদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা হলেও, তাকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছেন উত্তরবঙ্গের তিন বিধায়ক। যার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে এই ব্যাপারে যে জল্পনার কিছুই নেই, তা নিজেদের নিজেদের যুক্তির মধ্যে দিয়ে তুলে ধরেছেন বিধায়করা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ভারতীয় জনতা পার্টি প্রথম থেকেই এই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে কার্যত অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে। একের পর এক নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা দেওয়া হলেও, কর্মীদের কথা মাথায় রেখে অনেকেই সেই নিরাপত্তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। আবার অনেকে নিজেদের এলাকায় কোনো অসুবিধে নেই, সেই কথা তুলে ধরে নিরাপত্তা লাগবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই নিরাপত্তা না নেওয়ার সংখ্যাটা ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছিল।

যার জেরে বিজেপির একাংশ রাজ্যে সন্ত্রাস হচ্ছে বলে যে অভিযোগ তুলে ধরেছিল, সেই অভিযোগ কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। আর এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গের তিন বিধায়ক আবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রসঙ্গে নিজেদের নেতিবাচক অবস্থানের কথা জানিয়ে দিলেন। যা গেরুয়া শিবিরের কাছে কিছুটা হলেও অস্বস্তির বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!