মালদহ-দিনাজপুরের সমস্যা সমাধানে মমতার তুরুপের তাস ফিরহাদ-চন্দ্রিমা! নিলেন বিশেষ পদক্ষেপ তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য January 20, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূল শিবিরের ভাঙ্গন প্রকট হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে অন্যতম আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও ভাঙন। যথারীতি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ দলের অন্যান্য উচ্চপদস্থ নেতারা বার্তা দিয়ে গেছেন এবং যাচ্ছেনও বারেবারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতির যে বিশেষ কিছু বদল হয়নি তা স্পষ্টত। অন্যদিকে মালদা এবং উত্তর দিনাজপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে সংগঠনে। আর তাই এই দুই জেলার সংগঠনকে আবার একজোট করে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনতে তৃণমূল নেত্রী জেলায় পাঠালেন তাঁর অন্যতম দুই সেনা ফিরহাদ হাকিম এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। মঙ্গলবার এই দুই জেলায় কর্মীসভা করেন রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এবং সেখান থেকেই তিনি দলীয় কর্মীদের বার্তা দেন ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে গেরুয়া শক্তিকে আটকানোর। মঙ্গলবার দুপুরে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে এবং সন্ধ্যায় মালদার ইংলিশ বাজারের দুটি সভা করেন ফিরহাদ হাকিম। মালদায় তিনি এসে কর্মীসভায় একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দেন এবং বলেন, মালদায় দলের অভ্যন্তরে যে সমস্যা আছে তা যেন কোনোভাবেই বাইরে না এসে যায়। দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা আছে ঠিকই, কিন্তু সেটা দূরে সরিয়ে এই মুহূর্তে মালদা এবং দিনাজপুরের মানুষেরা যদি একজোট হয়ে লড়াই করে, তাহলে মালদায় তৃণমূল ভালো ফল করবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে সন্ধ্যায় ইংলিশবাজার শহরের চারশো কুড়ি মোড় সংলগ্ন একটি সিনেমা হলে মালদা জেলায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে কর্মী সভার আয়োজন করা হয় এবং এই কর্মীসভায় যোগ দেন রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মালদা জেলায় পা রেখেই জেলা পুলিশ এবং প্রশাসনিক আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম সমস্ত কর্মীদের কাছে আবেদন রাখেন, পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে বড় বিপদের নাম বিজেপি। আজ সেই বিজেপি রাজ্যের আসার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাঁদের সেই চেষ্টাকে রুখে দিতে হবে দলের সমস্ত কর্মীদের। পাশাপাশি এদিন ফিরহাদ হাকিম উত্তর দিনাজপুর জেলার নটি আসনই যাতে তৃণমূল পায়, সেই লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে আসেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যের শাসকদলে ভাঙ্গনের রাজনীতি প্রকট হতেই তৃণমূল নতুন করে একতার বার্তা দিতে শুরু করেছেন প্রতিটি জেলায় দলের অন্দরে। কারণ তৃণমূল নেত্রী ভালোই বুঝেছেন, দলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মসনদ দখলের পথে সবথেকে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে শাসকদলের কাছে। আপাতত দেখার, তৃণমূল নেত্রীর সেনারা কতদূর গৌড়বঙ্গের ফাটল মেরামত করতে পারেন! আপনার মতামত জানান -